প্রীতি পোদ্দার, আগরতলা: সরকারি কোনো অফিসে কোনো দরকারি কাজে গেলে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয় গ্রাহকদের। আর তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল সরকারি আধিকারিকদের নানা রকম খামখেয়ালী আচরণ। একটা সহজ কাজ দিনের পর দিন ঘুরিয়ে চলে গ্রাহকদের। তার উপর নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে উপস্থিত হন আধিকারিকরা। যা গ্রাহকদের বহু সমস্যায় ফেলে দেয়। আর এই আবহে এবার ৩৯ জন কর্মীকে অভিযোগের ভিত্তিতে শো-কজ নোটিশ ধরিয়ে দিল জেলাশাসক।
শো কজের নোটিশ ৩৯ জন কর্মীকে!
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ত্রিপুরার এক সরকারি সংস্থায় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে যে, নির্ধারিত অফিসের টাইমের অনেক পরে বেশকিছু কর্মকর্তা, কর্মী অফিসে আসেন, আর তাতে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হন সাধারণ মানুষ। দরকারি কাজ মিটতে অনেক সময় লেগে যায়। একদিন এলেই যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা, তা ঘোরানো হয় বেশ কয়েকদিন ধরে। আর ফলে অনেকেই জেলাশাসকের অফিসে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। সাধারণ মানুষের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বেশকিছুদিন বিষয়টির উপর নজর রাখছিলেন জেলাশাসক। আর তারপরেই একধাক্কায় ৩৯ জন কর্মীকে শো-কজ এর নোটিশ দেওয়া হল।
আসলে বর্তমানে বেশিরভাগ সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি নজর রাখার জন্য বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। যার ফলে এই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কর্মীদের অফিসে আসা যাওয়ার বিষয়টিতে নজরদারি করা যায়। আর সেখানেই এবার ধরা পড়েছেন কর্মীরা। বায়োমেট্রিকে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু কর্মী ক্রমাগত দিনের পর দিন দেরিতে অফিসে আসেন। নানা অভিযোগ করা হলেও নিয়ম মানছেন না তাঁরা। আর এই আবহে এবার এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী বলছেন জেলাশাসক?
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জসওয়াল জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি সরকারি অফিসে সরকারের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কর্মীরা সময়ের নিয়ম ঠিকভাবে পালন করছেন না। তাই তিনি, এই শো-কজ নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও এই নোটিশ পাঠানোর অন্যতম কারণ হল, বাকী কর্মীরা যাতে সঠিক সময়ের নির্দেশ পালন করে। এছাড়াও তিনি সরকারি কর্মীদের কাছে সময়ে অফিসে আসার আর্জিও জানিয়েছেন।