শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ভারতীয় রেলের তরফে ততই একের পরে এক চমক দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নিত্যনতুন ট্রেন, স্টেশন, উন্নত রেল লাইন সবটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে রেলের তরফে। এরই মাঝে বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ লাইন নিয়ে প্রকাশ্যে উঠে এল বড় আপডেট। আজ কথা হচ্ছে, খড়গপুর ও সাঁতরাগাছির মধ্যে চতুর্থ লাইনের (Kharagpur Santragachi 4th Line) প্রকল্প নিয়ে। এটি ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে এবং ডিপিআর প্রস্তুত করা হবে। তবে এবার এই লাইন নিয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছে রেল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
খড়গপুর- সাঁতরাগাছির চতুর্থ লাইন
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মোদী সরকারের তরফে বাজেট ২০২৫ পেশ হয়েছে। এদিকে এই বাজেট পেশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। যার মধ্যে বাংলা নিয়েও একাধিক বিষয় রয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোমবার বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পগুলিতে তিনগুণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য গড় বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৪,৩৮০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ ৮ দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে ইস্টওয়েস্ট পরিষেবা, কবে কবে? দিনক্ষণ ঘোষণা কলকাতা মেট্রোর
এরইসঙ্গে দুই মেদিনীপুরের জন্য দুটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দিঘা জলেশ্বর রুটে ট্রেন চলবে। এদিকে বর্তমানে কেবলমাত্র কলকাতা ও দিঘার মধ্যে ট্রেন চলে। সেক্ষেত্রে এবার জলেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চলার আশা। খড়্গপুর থেকে ঝাড়খণ্ডের আদিত্যপুর এই রুটে প্রস্তাবিত ১৩২ কিমির মধ্যে এখনও ৪২ কিমি রেলরুটের কাজ বকেয়া রয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ সালে এই কাজের জন্য সব মিলিয়ে ১৩১২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। তবে এই রুটে ১৯টি প্রস্তাবিত ওভারব্রিজের মধ্যে ১৭টা ওভারব্রিজের কাজই শেষ হয়ে গিয়েছে।
ডিপিআর পাবে রেললাইন?
এখন প্রশ্ন উঠছে, খড়গপুর ও সাঁতরাগাছির মধ্যে চতুর্থ লাইনে ডিপিআর হবে? সূত্রের খবর, এই চতুর্থ লাইনটি ডিপিআর খুব শীঘ্রই ডিপিআর পেয়ে যাবে। শুরু হবে কাজ।
বাংলা নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা কেন্দ্রের
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘রেলের উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ জরুরি এবং আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব জমি অধিগ্রহণে আমাদের সাহায্য করার জন্য। মন্ত্রী আরও জানান, অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের ১০১টি স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে এবং গত ১০ বছরে রাজ্যে প্রায় ১২৯০ কিলোমিটার ট্র্যাক যুক্ত করা হয়েছে।