শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ উরস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে আসছে না রাজবাড়ি মেদিনীপুর উড়স স্পেশাল ট্রেন (Rajbari Medinipur URS Special)। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক চাপনউতরের কারণে এমনিতেই এবারের উরস যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এবারের মতো ট্রেন যে আসছে না, সেটা নিশ্চিত করে দিয়েছে আঞ্জুমান ই কাদেরিয়া।
বাংলাদেশ থেকে আসছে না বিশেষ ট্রেন
প্রতি বছর বাংলাদেশ রাজবাড়ি থেকে মেদিনীপুরে আসে ট্রেন। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের ৪ তারিখে হয় সুফি সাধক মওলা পাকের উরস। এই বিশেষ দিনে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে দেশ বিদেশ থেকে আসেন বহু ভক্ত। যার মধ্যে সবথেকে বেশি দর্শনার্থী আসেন বাংলাদেশ থেকে। বস্তুত ফাল্গুন মাসের ৪ তারিখে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদ চত্বরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। মেদিনীপুর শহরেও বাড়ে ভিড়।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি হলেই মিলবে ৫০০ টাকা! বিরাট প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
১২৩ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরের উরস ট্রেন যাত্রায় ছেদ পড়ল বল জানা গিয়েছে। আঞ্জুমান ই কাদেরিয়া এই ট্রেন যাত্রার দায়িত্বে থাকে। বাংলাদেশের এই সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুমতি মেলেনি, তাই এবারের মতো যাত্রা হচ্ছে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “দুই দেশের মধ্যে মেলবন্ধনের কাজ করে থাকি আমরা। মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ও করোনার সময় মোট ৪ বছর বাদ দিলে, গত ১২৩ বছর ধরে আঞ্জুমান ই কাদেরিয়ার পরিচালনায় পূণ্যার্থীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে। এবারেও আমরা প্রায় ২,২০০ পূণ্যার্থী নিয়ে মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য তৈরি ছিলাম।”
১২৩ বছরের ইতিহাসে ফের ছেদ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক এখন আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসানোকে কেন্দ্র করেও নতুন করে শুরু হয়েছে তরজা। সম্পর্ক আবার কবে স্বাভাবিক হবে, সে ব্যাপারেও আপাতত নেই কোনো নিশ্চয়তা। এর ফলে উরস যাত্রা ক্রমে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে যাত্রা বাতিল। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে চিকিৎসাজনিত কারণ ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ভিসা ভারত সরকার মঞ্জুর করছে না বলেই জানা গিয়েছে।