গরু পাচার মামলায় আরও একবার ED র নজরে উঠে এল কেষ্টর অ্যাকাউন্ট! বাজেয়াপ্ত হল সম্পত্তি

Published on:

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে থাকলেও পরে ED র মামলায় তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ২০২৩ সালে ওই গরু পাচার মামলাতেই তাঁর কন্যা সুকন্যাকেও গ্রেফতার করে ED। এরপর গত বছর জজামিন পেয়েছিল সুকন্যা, আর তার কিছুদিন পরে ২০ সেপ্টেম্বর জামিন পান অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমে ফিরে ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গে জুড়েছেন অনুব্রত। এদিকে এই আবহেই ED অনুব্রতর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল।

আমাদের সাথে যুক্ত হন Join Now

ফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পথে ED

জানা গিয়েছে গরু পাচার মামলায় CBI এর দায়ের করা FIR এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে তারা। ইডির অভিযোগ, গরু পাচারের মধ্যে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের থলিতে আসে ৪৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। এই টাকার একাংশ তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ মেয়ে সুকন্যা, পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। এবার অনুব্রতের সেই সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছে।

পাঠানো হয়েছে নোটিশ

সূত্রের খবর এক বিবৃতির মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED জানিয়েছে, অনুব্রত, তাঁর পরিবার, সহযোগী সংস্থাগুলির স্থাবর সম্পত্তি প্রাথমিক ভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অনুব্রতদের নামে থাকা ৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট জমা অর্থের পরিমাণ ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। অতীতেও অনুব্রতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Whatsapp Broadcast Join Now

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে BSF এর কম‌্যান্ড‌্যান্ট সতীশ কুমার ও ব্যবসায়ী মহম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল CBI। তাদের গ্রেপ্তারের পর জেরা করে নানা সূত্র থেকে শেষে CBI ও ED জানতে পারে, বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও এতে জড়িত। তারপরেই একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলসহ তবে গোটা পরিবারকে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X