বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ব্রাজিলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)। চমকে গেলেন? জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আবার কবে ফুটবলার ছিলেন? নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন মনের গভীরে ঘুরপাক খাচ্ছে? তাহলে বলি, গোটা বিশ্ব যাকে মহাত্মা গান্ধী বলে চেনে সেই ভারতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ ভারতের জাতীয় পিতা মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও আরও এক মহাত্মা গান্ধী রয়েছেন যিনি একজন দক্ষ ফুটবলার।
একই নামে দ্বিতীয়জনের নাম থাকাটা স্বাভাবিক। তবে গোটা বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচারকারী এহেন একজন পৃথিবীজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের নামের সাথে একজন ফুটবলারের নামের মিল পাওয়াটা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো বিষয়। তবে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ব্রাজিলের বাসিন্দা মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাতেও পিরেস একজন দক্ষ নামজাদা ফুটবলার। মাত্র 32 বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের ফুটবল শৈলী নজর কাড়ে অনেকেরই।
আক্রমণাত্মক ফুটবলার মহাত্মা গান্ধী
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে অহিংসা ও শান্তিরবাণী প্রচার করেছেন ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে ভারতে এসে অহিংসা ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে সামিল হয়ে গোটা দেশে শান্তির বার্তা প্রচার করেছেন গান্ধীজি। বাপুর প্রধান লক্ষ্য ছিল হিংসার পথ ছেড়ে সত্য ও শান্তির পথে হেঁটে ইংরেজদের ভারত ছাড়া করা।
গান্ধীজীর সেই আমরণ চেষ্টাই আজ স্বাধীন ভারত তৈরি করেছে। তবে জাতির জনক গান্ধীজী শান্তিপ্রিয় হলেও ব্রাজিলীয় ফুটবলার মহাত্মা গান্ধী ফুটবলের ময়দানে একেবারেই শান্তিপ্রিয় নন। তিনি একজন আক্রমনাত্মক মিডফিল্ডার। দলের হয়ে বহুবার দক্ষ পায়ে শত্রু শিবিরে আঘাত হেনেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
কেন মহাত্মা গান্ধীর নামে রাখা হলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের নাম?
ফুটবলের দেশ হিসেবে পরিচিত ব্রাজিলের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম হয় মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাতেও পিরেসের। পিরেসের বাবা-মা দুজনেই ছিলেন গান্ধীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। বাপু যেমন শান্তির পথে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতেন ঠিক সেই পথেই ছেলেকে তৈরি করেছেন মাতেও পিরেসের বাবা-মা। আর সেই সূত্র ধরেই, একজন গান্ধী ভক্ত হিসেবে ছেলের নাম রেখেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।
মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও মাতেও পিরেসের ফুটবল কেরিয়ার
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মহাত্মা গান্ধী 2011 সালে পেশাদার ফুটবল জগতে পা রাখেন। আর সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় তাঁর ফুটবল কেরিয়ার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের আতলেতিকো গোয়ইনেসের হয়ে ফুটবল জীবনে ফিতে কাটেন তিনি। এরপর ইপোয়া ও ত্রিনডাডেতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ফেলেছেন এই তারকা।
আরওপড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে কত নম্বর জার্সি পেলেন মেসি, আজই কি খেলবেন?
তাছাড়াও দলের প্রয়োজনে লেফট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবেও মাঠে পজিশন নিতেন মহাত্মা গান্ধী। বলা বাহুল্য, ব্রাজিলের ক্লাব ফুটবলের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে খেলতেন এই ফুটবলার। তবে দুঃখের বিষয়, বর্তমানে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। শেষ বারের মতো দলের হয়ে বলে পা রেখেছিলেন 2017-র কোনও এক টুর্নামেন্টে।