শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: নতুন বেতন কমিশন গঠন ও বর্ধিত হারে DA বা মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা। কেন্দ্রে নিয়ম মতো বেতন কমিশন গঠন ও ডিএ বৃদ্ধি করা হয়। সেখানে বাংলার কখন ডিএ বাড়ানো হবে, সে ব্যাপারে নেই কোনো সদুত্তর। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র পার্থক্য এখনও অনেকটাই রয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার সরকারী কর্মীদের প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক নয়।
DA নিয়ে ক্ষোভ জারি সরকারি কর্মীদের
ন্যায্য হারে ডিএ পাওয়ার দাবি দিয়ে আইন আদালত পর্যন্ত করছেন কর্মীদের একাংশ। আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনে ৬ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ২০২৪ সালে ডিএ বাড়ানো হয়েছিল মাত্র ৪ শতাংশ। এবার যদি ৬ শতাংশ ডিএ বাড়ে, তাহলেও কেন্দ্র সরকারী কর্মী ও রাজ্য সরকারী কর্মীদের বেতনের পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে। এদিকে কেন্দ্র অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৪% DA-তে অখুশি কর্মীদের নয়া পদক্ষেপ, চাপে পড়তে পারে সরকার
অষ্টম পে কমিশন লাগু হওয়ার পর রাজ্য ও কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে বেতনের পার্থক্য আরও বৃদ্ধি পাবে। যদি ছয় শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়, তাহলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হবে ২০ শতাংশ। সেখানে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ ইতিমধ্যে ৫৩ শতাংশ। মানে ৩৩ শতাংশের ফারাক। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের কর্মীরা যতই দাবি করুক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে। কেন্দ্রের হারে ডিএ বৃদ্ধি করবে না রাজ্য সরকার। মানে পার্থক্য থাকবেই।
বিস্ফোরক সরকারি কর্মীরা
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র সংবাদ মাধ্যমে একটি চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘রাজ্য সরকার বলছে, ডিএ না দিয়ে সেই অর্থ উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১১ সালের জুন মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ডিএ-খাতে সরকার সাশ্রয় করেছে ২ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা।’ শ্যামল কুমার মিত্রের দাবি, ডিএ-র টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার যদি উন্নয়নের কাজ করে থাকে, তাহলে কাজের কৃতিত্ব কর্মীদেরকেই দেওয়া হোক।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |