চাকরি বাতিল মামলায় আরেক কাণ্ড, কমল অযোগ্যদের সংখ্যা! সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা SSC-র

Published on:

Supreme Court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১৬ সালের নিয়োগের গোটা তালিকা নিয়ে এখনও ধন্দে গোটা বাংলা। দুর্নীতির অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসারক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বরের রায়ের ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিচ্যুত বেশ কয়েকজন। কিন্তু এদিকে শেষ পর্যন্ত এই মামলায় বৈধ ও অবৈধ চাকরি প্রাপকদের আলাদা করা সম্ভব হবে কি না সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।

পঙ্কজ বনশলের দেওয়া রিপোর্ট সম্পূর্ণ নির্ভুল!

সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিলের শেষ শুনানির দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর আইনজীবী জানিয়েছিলেন যে, “নায়সা সংস্থা জানিয়েছিল যে কোনও ডেটা নেই। তারপর আমরা বাধ্য হয়ে ডেটা স্ক‍্যানটেক থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। তার সঙ্গে আমরা নায়সার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশলের থেকে পাওয়া ডেটা সংগ্রহ করে দুটো ডেটাকে মিলিয়ে দেখি। ডেটা এবং দুই তথ্যই মিলেছে। অর্থাৎ পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ডেটা সম্পূর্ণ নির্ভুল।” এছাড়াও CBI এর আইনজীবী আরও বলেন যে, “SSC র কাছে যে ডেটা ছিল, তাতে কারসাজি হয়েছিল। আমাদের তদন্তে স্পষ্ট, পঙ্কজ বনশলের কাছে যে ডেটা রয়েছে, তাতে কারসাজি হয়নি।”

আরও পড়ুনঃ ‘DA দিতে ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ!’ মমতাকে পাল্টা হিসেব বোঝালেন সরকারি কর্মীরা

সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর দাবি যেহেতু পঙ্কজ বনশলের তথ্য নির্ভুল তাই পঙ্কজ বনশনের ডেটা ধরে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করা সম্ভব হবে। কিন্তু শেষ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন যে, “CBI বলছে, বনশলের ডেটা নির্ভুল। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত হতে পারছিনা যে আদতে পঙ্কজ বনশালির তথ্য নির্ভুল। কারণ আমাদের হাতে অরিজিনাল মার্কসিট নেই।” তাই শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আর এই আবহে SSC বা স্কুল সার্ভিস কমিশন অন্য তথ্য জমা করল।

অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা কমে এল অনেকটাই!

সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC জানিয়েছে যে, এইমুহুর্তে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ৫ হাজার ৩০৩ জন। কিন্তু সেই সংখ্যাটা এর আগে SSC অন্য বলেছিল। বলা হয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪৮৫ জন। অর্থাৎ হলফনামায় সেই সংখ্যা এবার অনেকটাই কমে গেল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো রায়দান করা হয়নি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আর সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী পৃথকীকরণ সম্ভব না হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করা হতে পারে। এবার দেখার পালা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কি রায় দান করে।

সঙ্গে থাকুন ➥