Indiahood-nabobarsho

বদলাল স্বাধীনতার আগের নিয়ম, অসমের বিধানসভায় আর মিলবে না নামাজের বিরতি

Published on:

Namaz Break Tradition

প্রীতি পোদ্দার, দিসপুর: দেশ স্বাধীনের আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় মুসলিম লিগের তরফে এই বিষয়ে এক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। মুসলিম লিগের নেতা সৈয়দ সাদুলার তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, রাজ্যের মুসলিম বিধায়কদের জন্য শুক্রবার করে অর্থাৎ জুম্মার দিন ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ বিরতি (Namaz Break Tradition ) দেওয়া হবে। তখন থেকেই চলে আসছিল এই নিয়ম। কিন্তু এবার সেই নয় দশকের প্রথা ভাঙতে চলেছে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নমাজ বিরতির প্রথাকে তোষণের নিদর্শন বলে দাগিয়ে দিলেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

অধিবেশনে জুম্মার নমাজ পাঠ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

অসমে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তবে সেই বিধি এখনও কার্যকর না হলেও আইনে খানিক বদল এনে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে অসম সরকার। এছাড়াও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাল্য বিবাহ রোখার পাশাপাশি মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রশন বাধ্যতামূলক করছেন হিমন্ত। আর এবার মুসলিমদের বিধানসভায় নমাজ বিরতি নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিধানসভায় অসমের বিধানসভার অধিবেশনে জুম্মার নমাজ পাঠের প্রচলিত দু’ঘণ্টার বিরতি তুলে দেওয়া হল।

কৃতজ্ঞতা জানালেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

জুম্মার নমাজের দু’ঘণ্টার অধিবেশন বিরতির রীতি পুনর্বিবেচনার জন্য গত এপ্রিলে অসম বিধানসভার স্পিকার সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন৷ কমিটিতে বিভিন্ন দলের বিধায়কেরা ছিলেন। কয়েক দফা বৈঠকে বেশীরভাগই ওই প্রথাকে তুলে দিতে সম্মত হয়েছিলেন বলে হিমন্ত সরকারের দাবি। তাই এবার সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাজেট অধিবেশন পর্ব থেকেই উঠে গেল জুম্মার নমাজে দু’ঘণ্টা। এই উপলক্ষে বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দইমারি-সহ শাসক শিবিরের বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ না আমলা, না কর্মী! ২০ মাস ধরে কাগজেই চলছে রাজ্য সরকারের এই মন্ত্রক! বড়সড় পর্দাফাঁস

এদিকে অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অন্যতম বিরোধী দল AIUDF বিধায়ক রফিকুল ইসলাম। তিনি বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তার অভিযোগ এর ফলে ১২৬ আসনের অসম বিধানসভার প্রায় ৩০ জন মুসলিম বিধায়ক সমস্যায় পড়বেন।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group