প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফাল্গুন মাস পরে গিয়েছে। শীতের এখন শেষলগ্ন চলছে। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে বৃষ্টি। সুতরাং এই সময় খিচুড়ি ও ইলিশ মাছ হলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না। এদিকে এইমুহুর্তে ইলিশ মাছ (Ilish) পাওয়া নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন। তাই বাজারের ব্যাগ হাতে অনেকেই খোঁজ করতে শুরু করেছেন ইলিশ মাছের। কিন্তু সেরকম কোথাও ঢালাও ইলিশের বিক্রি নেই। তবে সম্প্রতি ইলিশপ্রিয় বাঙালিদের জন্য নিয়ে আসা হল এক সুখবর। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
শীতের শেষ লগ্নে দেখা ইলিশের
শীতকালে ইলিশের দেখা একেবারে পাওয়া যায় না বললেই চলে।কারণ এই সময় ইলিশের মরশুম নয়। তবে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাকদ্বীপে নদী ও সমুদ্রে দেখা মিলল ইলিশের। প্রায় ১৫ দিন মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে বাঙালির এই প্রিয় মাছ। যার ফলে মাছ বিক্রেতাদের কাছে ইলিশের জোগান বেড়েছে। আর এর ফলে দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে পড়ছে। গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলি ইলিশ পেয়েছিল। তারপর আর ইলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। এবার সেই ইলিশ বেরিয়ে এসেছে শীতের শেষ লগ্নে।
৮০০ টাকা কিলোতে বিকোচ্ছে ইলিশ!
সূত্রের খবর, জালে পড়া বেশিরভাগ ইলিশ মাছের সাইজ ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে রয়েছে। ছোটগুলোর দাম ৪০০ টাকা কেজি। কিন্তু ৫০০ গ্রাম হলেই ইলিশের দাম ঠেকছে ৮০০ টাকা কিলো। এদিকে আর কিছুদিন পরেই ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। তার আগে মন মন ওজনের মাছ মেলায় খুশি মৎসজীবী-ব্যবসাদার-ক্রেতার। এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ইলিশ মাছের দেখাই মেলেনি। অবশেষে খরা কাটল। তবে বর্ষার ইলিশের মতো এ মাছে অত ভালো স্বাদ নেই। কারণ প্রায় সব মাছেরই পেটে ডিম।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস আগেও নদী, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারগুলি ভোলা, নিহাড়ি, পাতা, পমপ্লেট, রুলি ইত্যাদি মাছ নিয়ে আসত। এছাড়া আর কিছু মিলত না। কিন্তু এখন বসন্তের মরশুমে যে ইলিশের পাত্তা পাওয়া যাবে তা অনেকেই আশা করতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ছবিটা গিয়েছে একদম বদলে। ক্রেতারাও বেশি বেশি করে ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাজার থেকে।