প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসকদের তরফ থেকে। সেইসময় ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ফের চিকিৎসকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ সোমবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে ডাকা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। সঙ্গে ছিল বহু চিকিৎসক।
বেতন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার!
জানা গিয়েছে চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর চিকিৎসকদের বেতন সংক্রান্ত এক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে রাজ্যের সমস্ত সরকারি চিকিৎসকদের সর্বস্তরে ভাতা ও বেতন বৃদ্ধি করা হল। এতদিন ইন্টার্ন, পিজিটি, জুনিয়র, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন ও ভাতা ১০ হাজার টাকা ছিল। এখন সেই বেতন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হল। ইন্টার্ন, পিজিটি, হাউসস্টাফদের ভাতা বাড়ানো হল ১০ হাজার টাকা। আর রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হল। আর এই সুসংবাদ শুনে রীতিমত আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন চিকিৎসকরা।
৮ ঘণ্টা সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার পরামর্শ
এছাড়াও বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে ডিপ্লোমা সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৬৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৭০ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮৫ হাজার। আর পোস্ট গ্রাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসকদের উদ্দেশে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, চিকিৎসকদের ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিতে হবে। এবং জেলা হাসপাতালগুলিকে তিনি জানিয়েছেন যে, “হঠাৎ করে রোগীদের রেফার করবেন না। কারণ কলকাতায় সামলানো অসুবিধা হয়ে যায়।”
আজকের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়েও বেশ সুখ্যাতি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যসাথীর সাফল্যে ডাক্তারদের বিরাট অবদান রয়েছে। ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গেও এখন দেশের সেরা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার বেড বেড়েছে। এবং ডাক্তারের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ২৫ হাজারের বেশি নার্সের সংখ্যাও বেড়েছে।” এদিন হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও সরব হন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তায় এক্স সার্ভিসম্যানদের রাখা হোক। পুলিশকেও নজরদারি বাড়াতে হবে। পুলিশকে মোবাইল ভ্যান আরও বাড়াতে হবে। অপরাধ ঠেকাতে পুলিশকে সাইবার ট্রেনিং দিতে হবে। গলির কোনায় কোনায় ওয়াচ টাওয়ার লাগাতে হবে। দরকার হলে সাংসদ, বিধায়কদের তহবিল থেকে টাকা নিয়ে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |