বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: যাত্রী সংকটে ভুগছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)! ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে গল্পটা খুব সাধারন। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া আবার হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড, এই দীর্ঘ রুটের অধিকাংশ নিত্য যাত্রীই মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখার সংযুক্ত পথের যাত্রী। একইভাবে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের বেশির ভাগই শিয়ালদা থেকে শহরতলীর ট্রেন যাত্রী।
এমতাবস্থায়, যাত্রী হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে কলকাতা মেট্রো! হ্যাঁ, মূলত যাত্রীসংখ্যা নির্ভর করে মেট্রোর যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা উন্নত তার ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ যাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী শহরের সাথে অন্যান্য এলাকাগুলি কোন সূত্রে সংযুক্ত সেই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে মেট্রো পথগুলির সাফল্য। তাই যোগাযোগে ঘাটতি থাকায় নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর এবং জোঁকা থেকে এসস্প্ল্যানেড মেট্রো পথের বেশ কিছু স্টেশন যাত্রী অভাবে ভুগবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রবিবারের আলোচনায় উঠে এলো আশঙ্কার কথা
রবিবার ভারত বনাম পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিনই কলকাতার সল্টলেকে ইনস্টিটিউট অফ টাউন প্ল্যানার্স-এর পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টার দ্বারা আয়োজিত কলকাতা শহর জুড়ে প্রস্তাবিত মেট্রো ব্যবস্থার প্রভাব ও যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ আলোচনা সভার। আর সেই সভাতেই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে একাধিক আশঙ্কা উঠে এসেছে। সূত্র বলছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মেট্রোর পরিকল্পনা ঠিক কেমন ভাবে হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে মেট্রোর সাফল্য।
এক কথায় বলতে গেলে, মেট্রো পথ তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি স্টেশনের মধ্যে গড়ে 1 কিলোমিটারের দূরত্ব রাখা উচিত। তবে কলকাতা মেট্রোর ক্ষেত্রে সেই নিয়মে অসংখ্য বদল দেখা গিয়েছে। শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড যাওয়ার রাস্তায় মেট্রো পথের দূরত্ব কমপক্ষে দুই কিলোমিটার। হিসেবটা মহাকরণ থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পথের ক্ষেত্রেও একই। আর এই কারণেই বড়বাজার বা বউবাজার লাগোয়া রবীন্দ্র সরণির একটা বড় অংশ মেট্রো মানচিত্রের বাইরে রয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, শহর থেকে শহরতলীর মেট্রোপথে স্টেশনের দূরত্বের কারণেই অনেকেই বেশ কিছু স্টেশন এড়িয়ে যান। সূত্র বলছে, উত্তর থেকে দক্ষিণের বরানগর মেট্রো স্টেশনটি এই দূরত্বের কারণেই অনেকে এড়িয়ে চলেন বলেই অভিযোগ। রবিবারের আলোচনা সভায় সংগঠনের অন্যতম নগর পরিকল্পক দীপঙ্কর সিংহ জানান, কীভাবে আদর্শ মেট্রোপথ পরিকল্পনা করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
মেট্রো ব্যবস্থাকে সফল করতে হলে বিভিন্ন স্টেশন এবং স্টেশন লাগোয়া মেট্রো পথ গুলির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ট্রামের ব্যবহারকেও চিহ্নিত করেন তিনি। সাধারণত আদর্শ মেট্রো পথের ক্ষেত্রে 1 কিলোমিটার দূরত্বে স্টেশন তৈরি হয়। আরে ঠিক এই কথাই রবিবারের আলোচনায় উঠে এসেছিল।
মেট্রো পরিকল্পনায় বাধা হয়েছে আবাসন
বাস্তবিক অর্থে ভাবতে গেলে টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন এবং জোকার স্টেশনের মধ্যেকার সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা একেবারে যথাযথ ছিল। তবে এই পথে একাধিক আবাসন থাকার কারণে স্টেশনের মধ্যে সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
অবশ্যই পড়ুন: টোলমুক্ত হতে পারে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে রাজ্য সরকার
অন্যদিকে নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর মেট্রোর বরুণ সেনগুপ্ত ও বেলেঘাটা স্টেশনের মধ্যেকার নিকটবর্তী জনপদের যোগাযোগ অত্যন্ত কম। যার কারণে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। সূত্র বলছে, সমগোত্রীয় কারণে চিংড়িঘাটাতেও কোনও স্টেশন তৈরি করা যায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |