প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: উৎসব মানেই ছুটির মহড়া। তার উপর বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। নতুন মাস পড়লেই সমস্ত সরকারী কর্মীরা মুখিয়ে থাকেন ছুটির তালিকা জানার জন্য। কিন্তু এবার ছুটির দিন নিতে বিতর্কের মুখোমুখি হতে হল কলকাতা পৌরসভাকে। বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদে দু’দিন ছুটি দেওয়ার নোটিস ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই শেষপর্যন্ত কলকাতা পুরসভার (KMC) শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিককে শো কজ করলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতা পুরনিগমের শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ধারা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, কলকাতা পুর এলাকায় হিন্দি এবং উর্দুভাষী স্কুলগুলির ছুটির তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে ৷ আগামী ৩১ মার্চ ঈদের দিন এবং তার পরের দিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল দুদিন ছুটি থাকবে ৷ এছাড়াও সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে এবার বিশ্বকর্মা পুজোয় কোনও ছুটি থাকবে না ৷ কারণ, বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য যে ছুটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই ছুটিটিই ঈদের পরদিন দেওয়া হচ্ছে ৷ আর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের চর্চা শুরু হয়েছে।
কী বলছেন বিজেপি সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?
একের পর এক বিজেপি নেতা-নেত্রী এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন ৷ বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ও এই নিয়ে কাঠগড়ায় তোলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ৷ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এক কড়া মন্তব্য করেন। তিনি জানান, “ বাঙালির জানা দরকার, পশ্চিমবঙ্গটা ইতিমধ্যেই পশ্চিম বাংলা হয়ে গিয়েছে। তাই এবার কলকাতা শহরে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। আর সেই ছুটি বাতিল করে কলকাতা পৌরসভার স্কুলগুলিতে ইদ উল ফিতারের ছুটি দুদিন করা হল।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে সারা ভারতে ইদ উল ফিতারের ছুটি একদিন হয়, কিন্তু কলকাতা পুরসভা যেহেতু ফিরহাদ হাকিমের দ্বারা শাসিত, তাই এখানে এই ছুটি দুদিন করা হল। যা প্রত্যেক সনাতনীকে আঘাত করতে পারে।”
আরও পড়ুনঃ ‘ভবিষ্যতে লন্ডনের থেকে বেশি উন্নত হবে কলকাতা! দাবি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
শোকজ করা হল পুরসভার শিক্ষা বিভাগের আধিকারিককে
বিজেপি এই নিয়ে সরব হতেই ইতিমধ্যেই পিছু হটেছে কলকাতা পুরসভা। সঙ্গে সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে বিবৃতি জারি করেছেন কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার। পুর কমিশনার ধবল জৈন বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই নোটিস জারি করা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভা ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানত না। ওই নোটিস বাতিল করা হয়েছে।’’ অন্যদিকে শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহার বক্তব্য, “আমরা শোকজ করেছি, তিনি এরকম একটা সার্কুলার কীভাবে বার করলেন? এটা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। এরকম কোথাও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ডিসিপ্লিনারি অ্য়াকশন তাঁর বিরুদ্ধে নেব। আমার বা মেয়রের কোনও অ্যাপ্রুভাল সিগনেচার কোথাও পাবেন না।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |