LIC, UCO সহ এই ৫ ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার অংশীদারিত্ব বিক্রি করবে কেন্দ্র! শোরগোল দেশে

Published on:

modi lic uco bank

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এক পদক্ষেপকে ঘিরে রাতের ঘুম উড়েছে অনেকের। আবার কেউ কেউ বলছেন সরকার অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে দেশের রাজকোষ ভরার লক্ষ্যে সরকারি ব্যাঙ্ক, বিমা ও সংস্থা মিলিয়ে অন্তত ছ’টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সরকারি অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এই ৫ ব্যাঙ্ককে নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

কেন্দ্র সম্ভবত LIC এবং পাঁচটি পাবলিক ব্যাংকের ছোট ছোট শেয়ার বিক্রি করবে যাতে তারা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) এর ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং (এমপিএস) নিয়ম পূরণ করতে পারে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন, এই তালিকায় রয়েছে এলআইসিও।

কেন্দ্র পাঁচটি পাবলিক ব্যাংকের সংখ্যালঘু অংশীদারিত্ব বিলগ্নি করতে পারে যদি তারা বাজার থেকে নতুন মূলধন সংগ্রহ করে ২৫% এমপিএস নীতিমালা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়। পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংকে পাবলিক হোল্ডিং মাত্র ১.৭৫%, তারপরে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক (৩.৬২%), সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (৬.৯২%), ইউকো ব্যাংক (৪.৬১%) এবং ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র (২০.৪%) রয়েছে। একইভাবে, সরকার নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসুরেন্সে পাবলিক হোল্ডিং ১৪.৫৬% এবং জিআইসি আরই-তে পাবলিক হোল্ডিং ১৭.৬% হ্রাস করার আশা করছে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বড় প্ল্যান সরকারের

কেন্দ্রীয় সরকার ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্লেসমেন্ট (QIP) রুটের মাধ্যমে ১০০০০ কোটি টাকা তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। চতুর্থ ত্রৈমাসিক থেকে ছোট ছোট কিস্তিতে তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। সূত্রের খবর, ডিপার্টমেন্ট অফ ডিসইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (ডিআইপিএএম) অফার ফর সেল (ওএফএস) রুটের মাধ্যমে এই ঋণদাতাদের অংশীদারিত্ব বিক্রির আদেশও পেয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে সরকার ২০২৬ সালের আগস্টের মধ্যে এই PSU ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে ন্যূনতম ২৫% পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং নিয়ম অর্জনের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুনঃ ১ লক্ষ লাইসেন্স ধারককে খুঁজছে পরিবহন দফতর, এই ভুল করলেই ডিফল্টার ঘোষণা

এই শেয়ার বিক্রির লক্ষ্যে একটি বিশেষ উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি স্থির করবে কবে, কীভাবে এবং কত অংশ শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব। এই শেয়ার বিক্রির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সিকিওরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি) বিধিনিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সেখানে আরও বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি সংস্থার একটি নির্দিষ্ট হারের শেয়ার বেসরকারি হাতে থাকতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group