আবাসে ঘর পেয়েছেন স্বামী, বাংলার বাড়ি পেলেন স্ত্রী! জানাজানি হতেই ফাঁদলেন ডিভোর্সের গল্প

Published on:

banglar bari awas yojana

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাংলায় আবাস যোজনার প্রকল্পকে ঘিরে এক জনোচ্ছাস দেখা গিয়েছে। সমীক্ষা শেষে গত বছর ডিসেম্বরে আবাস প্রকল্পের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে। গত মাস থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য। সব কিছুই হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। কেউ পুরনো খুঁটি দেওয়া বাড়ির বেড়া সরিয়ে সেখানে কংক্রিটের ব্যান্ড দিয়ে ইটের দেওয়াল তুলছেন। কেউ আবার আবাসের টাকায় পুরনো বাড়ির পাশে আগাম রান্না ঘর তৈরি করছেন। কিন্তু এবার হল আরেক কান্ড। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আগেই ঘর তৈরির টাকা পেয়েছিলেন স্বামী। এদিকে আবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে (Awas  Yojana) নাম তুলে আরও একটি বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়া পঞ্চায়েত এলাকায় খেজুরি ২ ব্লকের মানসিংহবেড় গ্রামের বাসিন্দা হলেন শেখ সেরাজুল হোসেন। তিনি ২০১৭-১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। তার জন্য ওই বছরই টাকা পেয়েছিলেন তিনি। টাকা পেয়েই তিনি একটি বাড়িও তৈরি করেছেন। এদিকে আবার পাশের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়া এলাকায় সেরাজুলের একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে একটি কাঁচা বাড়িও রয়েছে। মাঝেমধ্যেই ওই বাড়িতে তালপাটি খালে মাছ ধরতে যান সেরাজুলের স্ত্রী সাইমা বিবি। তিনি নাকি আবার বাংলা আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন। যা নিয়ে এবার জোর বিতর্ক শুরু হল।

সেখানকার স্থানীয় লোকজনের গোটা বিষয়টি নজরে আসতেই নালিশ জানানো হয় ব্লক প্রশাসনকে। অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামেন তাঁরা। সেখানেই ওঠে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায় সেরাজুলের স্ত্রী সাইমা বিবি প্রথমেই খেজুরি থেকে নাম কাটিয়ে নন্দীগ্রামের ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন। এর পর ভাঙাচোরা মাটির বাড়িটি দেখিয়ে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাংলা বাড়ি প্রকল্পে নাম তোলেন। যার ফলে কিছু দিন আগে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা সাইমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা, নবান্নর কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানালেন স্ত্রী!

এই কাণ্ডে সম্পূর্ণ অভিযোগ পাওয়ার পরেই নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও সেরাজুল ও তাঁর গোটা পরিবার সম্পর্কে বিশদ জানতে খেজুরি ২ ব্লকের বিডিওকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই সাইমার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নন্দীগ্রাম ১-এর ব্লক প্রশাসন। কিন্তু টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হতেই সাইমা বিবি দাবি করেন শেখ সেরাজুল হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে ভাঙাবেড়ায় সাইমা যে নতুন বাড়ি বানাতে শুরু করেছেন, সেই কাজের নিয়মিত তদারকি করছেন তাঁর স্বামী সেরাজুল। তাই আগামী শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তাঁর মন্তব্য কতটা সত্যি তা যাচাই করা হবে সেখানে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group