বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) সুপার সিক্সের আশা। প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর ভরসা করেও কার্যত লাভ হচ্ছে না। শুক্রবার চলতি মরসুমে প্রথমবারের জন্য স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে মহামেডানের ওপর ভরসা করেছিল লাল হলুদ। তবে অস্কার ব্রুজোদের আস্থার জায়গা টিকিয়ে রাখতে পারেনি সাদা কালো ব্রিগেড।
ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্রয়ের পর ইস্টবেঙ্গলের মনোবল কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শনিবারের ম্যাচেও। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে 2 গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র হয় ম্যাচ। যার জেরে প্লে-অফের রাস্তাটা আরও খানিকটা ভঙ্গুর হয়ে গেল মশাল বাহিনীর।
মুম্বইকে আটকে রাখতে পারেনি বাগান
শনিবার ঘরের মাঠে বাগান ব্রিগেডের বিপক্ষে আক্রমণ শানাতে নামে মুম্বইয়ের ছেলেরা। তবে গোলের লক্ষ্য নিয়ে প্রথমার্ধে মাঠ দখল করলেও ম্যাচের শুরু থেকে গোছানো ফুটবল খেলছিল বাগান প্লেয়াররাই। ম্যাচ শুরু হতেই প্রথম 32 মিনিটে গোল করে বসেন জেমি ম্যাকলারেন।
সতীর্থর কাছ থেকে প্রথম গোল উপহার পেয়ে মুম্বইকে আরও খানিকটা চেপে ধরতে উঠে পড়ে লাগে গঙ্গা পাড়ের ছেলেরা। একই পথ ধরে গোলকিপার পূর্ব লাচেনপার হাতের নাগালের কিছুটা দূর থেকে বল জালে জড়ান দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই সাথে প্রথমার্ধে জোড়া সফলতা আসে বাগান ব্রিগেডে।
প্রথমার্ধে বাগানের ঝুলিতে ছুরি বসাতে না পারলেও 57 মিনিটের মাথায় মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জন তরাল। ব্রেন্ডনের কর্নার থেকে গোল শট করে ভালপুইয়া। আপ্রাণ চেষ্টা করে সেই বল সেভ করেছিলেন বিশাল কাইত। তবে ফিরতি বল লক্ষ্যে রেখে গোল করেন জন। যার দরুণ প্রথম গোলে নড়েচড়ে বসে মুম্বইয়ের বাকিরা। এরপর 88 মিনিটের মাথায় জোরালো গোল করে সমতায় ফেরেন নাথান।
যার ফলে 2 গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ। বলে রাখি, শনিবারের ম্যাচ ছিল লিগ শিল্ড জয়ীদের শুধুই মর্যাদা রক্ষার লড়াই। তবে এ কথা ঠিক যে গতকালের ম্যাচ থেকে হারানো পয়েন্ট নিয়ে খানিকটা আত্মবিশ্বাস হীনতায় ভুগবে দলের বাকিরা। যদিও সবুজ মেরুনের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছে ঘরের মাঠে এই রণক্ষেত্রে জিতে নিজেদের শক্তি আরও কিছুটা বাড়াতে চাইবে মোহনবাগান।
মেরিনার্সদের ম্যাচ ড্র হওয়ায় চাপে পড়ল ইস্টবেঙ্গল?
চলতি ISL লিগের একেবারে প্রথমার্ধে ধারাবাহিক পরাজয়ের কারণে ব্যর্থতা বেড়েছে ইস্টবেঙ্গলের। যদিও মশালবাহিনীর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব অস্কারের কাঁধে উঠতেই কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে লাল হলুদ। তবে এই কামব্যাকে যে সুপার সিক্সে ওটা দুষ্কর তা অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিলেন লাল হলুদ কোচ। আর সেই কারণকে সামনে রেখেই এখন সুপার সিক্সের রাস্তা তৈরি করতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে লাল হলুদদের।
অবশ্যই পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া না দক্ষিণ আফ্রিকা? আজ কী হলে কোন দলের সঙ্গে সেমিতে খেলবে ভারত জানুন
যদিও সেই পরীক্ষায় সাদা কালোদের ম্যাচেই প্রথমবার ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আশা ছিল মেরিনার্সদের ওপর। তবে তাও কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে প্লে অফে জায়গা করার কাজটা লাল হলুদদের কাছে যথেষ্ট কঠিন। যা বাস্তবায়িত করতে গেলে আগামী দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে সেই সাথে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে শুরু করে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মতো ক্লাবগুলির পরাজয় কামনা করে জটিল অঙ্কের হিসেবে বসতে হবে কলকাতা ময়দানের প্রধান দল ইস্টবেঙ্গলকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |