প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরতেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে তার আগেই ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে ভোটার লিস্টে কারচুপি করে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জায়গায় অন্যান্য রাজ্যের লোকজনদের নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের তরফে। তাই রাজ্যে ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে নয়া কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতেই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। খোদ তৃণমূলেরই এক নেত্রীর নাম রয়েছে ভোটার লিস্টে (Voter List) দুই জায়গায়।
ভোটার লিস্টে দু’বার নাম তৃণমূল নেত্রীর!
যেহেতু বছর ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো নাম বের করে আনতে হবে। তাই নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরতে দেখা যাচ্ছে দলের সদস্যদের। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেল এক ঘটনা। তৃণমূল নেত্রী শেফালি খাতুনের নাম উঠল দুই জায়গার করার লিস্টে (Voter List)। একটি নাকাশিপাড়ার ভোটার লিস্টে এবং অপরটি কালীগঞ্জ বিধানসভার তালিকাতে। স্পস্ট করে লেখা রয়েছে তাঁর নাম। আর সেটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দুই ভোটার তালিকায় তৃণমূল নেত্রী শেফালি খাতুনের নাম ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। তদন্ত শুরু হল কেন তৃণমূল নেত্রীর নাম দুই বিধানসভার ভোটার তালিকায় উঠল। আদতে শেফালি খাতুন একজন তৃণমূল নেত্রী হওয়ার পাশাপাশি কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির আবার সভাপতি। এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ি নাকাশিপাড়া বিধানসভার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু পরে তাঁরা কালীগঞ্জের দেবগ্রামে চলে যান। সেখানেই ভোটার কার্ড করিয়ে নেন। শেফালি খাতুনের দাবি, তিনি জানতেন না যে এভাবে দু জায়গায় তাঁর নাম রয়েছে।
কী বললেন শেফালি খাতুন?
এই প্রসঙ্গে শেফালি খাতুন বলেন, “আমাদের কালীগঞ্জ ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তার মধ্যে দুটি পঞ্চায়েত নাকাশিপাড়ার বিধানসভার মধ্যে পড়ে। আমাদের গ্রামের বাড়ি নাকাশিপাড়া বিধানসভার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই। সেই হিসেবে আমাদের ভোটার কার্ড ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল। কিন্তু এখন আমরা বাস করি দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে, যা কালীগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। আমরা পালিতবেঘিয়া থেকে দেবগ্রামে ভোটার কার্ড বদল করেছি। কিন্তু এখন দেখছি দুই লিস্টে এখনও আমার নাম রয়েছে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হতেই তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কমিশন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা তালিকায় নাকাশিপাড়া থেকে বাদ দিয়ে দেয় শেফালি খাতুনের নাম। তবে এই ঘটনায় কুকথা বলতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “তৃণমূল আসলে ভুয়ো ভোটার তৈরি করে। একজন প্রশাসক হিসেবে কীভাবে এত দায়িত্বজ্ঞানহীন করে।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |