সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ বর্তমান ডিজিটাল যুগে কোনকিছুর জন্য অপেক্ষার আর প্রয়োজন নেই। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই অনলাইনে প্যান কার্ড বানাতে পারবেন। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনছেন। আয়কর দপ্তরের ইনস্ট্যান্ট e-PAN পরিষেবা আপনাকে এখন দ্রুত ও নিরাপদ উপায়ে ডিজিটাল প্যান কার্ড তৈরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। যদি আপনার কাছে প্যান কার্ড না থাকে এবং জরুরীভাবে প্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়, তাহলে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আপনি e-PAN কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন।
কেন গুরুত্বপূর্ণ প্যান কার্ড?
PAN (Permanent Account Number) হল ১০ অক্ষরের একটি আলফানিউমেরিক আইডেন্টিটি নম্বর, যা ভারতের আয়কর দপ্তর সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রদান করে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্যান কার্ড সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। কারণ, ইনকাম ট্যাক্স ফাইলিং করতে প্যান কার্ড প্রয়োজন হয়, এছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে তো প্যান কার্ড লাগেই। পাশাপাশি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত লেনদেনও এটি অপরিহার্য একটি ডকুমেন্ট। আগে প্যান কার্ড পেতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন আয়কর দপ্তর ই-ফাইলিং পোর্টাল থেকে মাত্র ১০ মিনিটেই প্যান কার্ডের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
কীভাবে ১০ মিনিটে প্যান কার্ড বানাবেন?
জানলে হয়তো অবাক হবেন, এই পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করা যায় এবং সম্পূর্ণ ফ্রি। শুধু নীচের ধাপগুলি আপনাকে অনুসরণ করতে হবে-
১) প্রথমে আয়কর দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://www.incometax.gov.in/) যেতে হবে।
২) এবার ওয়েবসাইটের Quick Links সেকশনে গিয়ে Instant e-PAN অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৩) সেখানে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমে থাকবে Get New e-PAN (নতুন e-PAN বানানোর জন্য) এবং তারপর থাকবেঠা Download PAN (আগে করা PAN ডাউনলোড করার জন্য)। যেহেতু আপনি নতুন প্যান কার্ড বানাবেন, তাই Get New e-PAN অপশনে ক্লিক করুন।
৪) এরপর আপনার ১২ সংখ্যার আধার নম্বর লিখুন এবং শর্তাবলী মেনে টিক দিন। তারপর Continue অপশনে ক্লিক করুন।
৫) এরপর আপনার আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নাম্বারে একটি OTP আসবে। সেই OTP-টি লিখে Continue করুন।
৬) এরপর আপনার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা এবং ছবি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার আধার কার্ডের তথ্য থেকে ইনপুট হয়ে যাবে। যাচাই করা হয়ে গেলে Continue অপশনে ক্লিক করুন।
৭) এরপর আপনি ইমেইল দিতে পারবেন। যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়তে পারে।
৮) সমস্ত তথ্য সঠিক থাকলে একটি অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর তৈরি হবে। এরপর আপনার e-PAN তৈরি হয়ে যাবে এবং আপনার ইমেইল আইডিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
৯) পুনরায় Instant e-PAN সেকশনে গিয়ে Download e-PAN অপশন সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার আধার নাম্বার দিয়ে লগইন করুন। তারপর OTP প্রবেশ করান। এখানে পিডিএফ ফরমেটে আপনার e-PAN ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বলে রাখি, মাত্র ১০ মিনিট লাগবে এই e-PAN বানাতে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। তাই একবার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই এই প্যান কার্ড ইস্যু করা যাবে।
e-PAN কি সাধারণ প্যান কার্ডের মতোই বৈধ?
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, e-PAN সাধারণ প্যান কার্ডের মতো বৈধ তো? এর উত্তর হ্যাঁ। e-PAN এবং সাধারণ প্যান কার্ড দুটোই বৈধ। যেকোনো জায়গায় প্যান কার্ডের প্রয়োজন হলে সেখানে আপনি e-PAN ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে NSDl-এর ওয়েবসাইট থেকেও প্রিন্টেড প্যান কার্ড তৈরি করতে পারবেন।
প্যান কার্ডের হার্ড কপি কীভাবে পাবেন?
যদি আপনার প্যান কার্ডের হার্ড কপি প্রয়োজন হয় তাহলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে e-PAN নাম্বার এবং জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করুন। এরপর শর্তাবলী মেনে “Reprint Pan Card” অপশন সিলেক্ট করুন। তবে প্যান কার্ড প্রিন্ট আউট করার জন্য আপনাকে ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। ফি প্রদান করা হলে তিন-চার দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় প্যান কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং, ট্যাক্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজাকশের ক্ষেত্রে প্যান কার্ড সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। আগে এই প্যান কার্ড তৈরি করতে ১ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন সেই কাজ মাত্র ১০ মিনিটেই সম্ভব। তাই আপনার ইনস্ট্যান্ট প্যান কার্ড প্রয়োজন হলে দেরি না করে এখনই e-PAN তৈরি করুন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |