CBI চার্জশিটে নয়া তথ্য! চাকরিপ্রার্থীদের মুখ বন্ধ রাখতে মোটা টাকা দেন কালীঘাটের কাকু

Published on:

Primary Recruitment Case

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তবে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে তিনি বেহালার বাড়িতেই রয়েছেন। আর এই আবহে, সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Primary Recruitment Case) তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই চার্জশিটে উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত চার জন এজেন্টের মোট ১০টি ডায়েরি, যেখানে ঘুষের হিসাব বিশদে লেখা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই টাকা নাকি অরুণ কুমার হাজরা এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কাছে পৌঁছে যেত জানিয়েছে সিবিআই।

৩৭ কাঠা জমি বিক্রি করেন সুজয়কৃষ্ণ!

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদন্তের সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI জানতে পারে যে, রাজ্যে নিয়োগ মামলা হাইকোর্টে চলে যাওয়াতে ব্যাপক ফ্যাসাতে পড়েছিল কালীঘাটের কাকু। কারণ সেই সময় চাকরি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। আর যারা চাকরি পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই টাকা দিয়ে রেখেছিল, তারা এজেন্ট, সাব এজেন্টদের ওপর চাপ দিচ্ছিল। তখনই বেহালার মেন্টনে নিজের কোম্পানির নামে থাকা ৩৭ কাঠা জমি সাড়ে তিন কোটি টাকায় বিক্রি করে দেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। চাকরি না পাওয়া প্রার্থীদের মুখ বন্ধ রাখতে সুজয়কৃষ্ণ এজেন্ট, সাব এজেন্টজের মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত দিয়েছিলেন বলে সিবিআই সূত্রের দাবি।

চারজন এজেন্টের নাম প্রকাশ্যে আনল CBI

ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জমি বিক্রির পাশাপাশি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও CBI এর হাতে পৌঁছেছে। যার ফলে প্রমাণিত হচ্ছে যে সুজয়কৃষ্ণকেও চাকরি বিক্রির অন্যতম ‘মাথা’ হিসেবে সন্দেহের লিস্টে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে সিবিআই এর চার্জশিটে যে চারজন এজেন্টের কথা বলা হয়েছে তাঁরা হলেন শেখ আব্দুল সালাম, বকুল বিশ্বাস, রৌসন আলম ওরফে মিলন এবং তৃস্তান মান্না। এই চার জনই অরুণের এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা টাকা তুলে অরুণের কাছে পৌঁছে দিতেন। সেখান থেকে টাকা যেত সুজয়কৃষ্ণের কাছে। আর এই টাকা তোলা এবং টাকা দেওয়ার হিসাব লেখা থাকত সেই ডায়েরিগুলিতে।

আরও পড়ুনঃ দোলের আগে বাড়ল ২.৫% DA! উপকৃত হবেন ৪০,০০০ সরকারি কর্মচারী

এছাড়াও ২০১৭ সালে কুন্তল, শান্তনুদের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের ৭২.৫৯ মিনিটের কথোপকথনের উঠে এসেছিল ১০০ কোটি টাকা তোলার প্রসঙ্গ। বেহালার বাড়িতে বসে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে সেই অঙ্ক বুঝিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এমনকি কথোপকথনে ওই টাকা ভাগাভাগির প্রসঙ্গে এসেছে মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। আর এই বাক্যালাপের মাধ্যমে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের অনেক আগে থেকেই দুর্নীতিমূলক পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥