ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে এবার বড় প্রমাণ দিল হার্ভার্ডের বিজ্ঞানী! চমকে উঠল গোটা বিশ্ব

Published on:

Harvard Scientist Dr. Willie Soon claims God is Real

প্রীতি পোদ্দার, ওয়াশিংটন: কথায় আছে বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আজও বিজ্ঞানের সঙ্গে ঈশ্বর বিশ্বাসী ভাবনা কখনও একই ধারায় চলে না। তাইতো ভূত, আত্মা, ঈশ্বর এই সব কিছুর মধ্যে বিজ্ঞানকে খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন অসংখ্য বিজ্ঞানী। কিন্তু এখনও অধরা সব কিছু। কারণ বিজ্ঞান মানেই যুক্তি দিয়ে সমস্তটা বিচক্ষণ করা। কিন্তু ঈশ্বর ভাবনা যখন মাথায় আসে, তখন একটাই প্রশ্ন ভেসে আসে আর সেটা হল ঈশ্বর, যাকে কি না চোখে দেখা যায় না। তার মতো এক ভাবনাকে বিজ্ঞানীরা কীভাবে দেখেন। আর এর উত্তর খুঁজতেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard Scientist) বিজ্ঞানী উইলি সুন।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঈশ্বর ভাবনায় উঠে এসেছে গাণিতিক সূত্র

পৃথিবীতে লক্ষ কোটি মানুষের বাসস্থান রয়েছে। আর এই অসংখ্য মানুষের মধ্যে ধর্মের বিস্তারও ভিন্ন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল প্রতিটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ ঈশ্বর হিসেবে আলাদা আলাদা দেবতাকে ভক্তি ভরে শ্রদ্ধা ও পুজো করে। বিপদে আপদে সবসময় আমরা মনে মনে তাঁকে স্মরণ করি। কিন্তু এবার সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জানিয়েছে যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে। বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর উইলি সুন দাবি করেছেন যে একটি গাণিতিক সূত্র রয়েছে যা ঈশ্বরের অস্তিত্বের “চূড়ান্ত প্রমাণ” হতে পারে। আর সেই সূত্রটাই এবার সম্প্রতি টাকার কার্লসন নেটওয়ার্কে উপস্থিত হয়ে তিনি তার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি মহাবিশ্বের Fine-Tuning Argument নিয়ে আলোচনা করেন।

কী এই Fine Tuning Argument?

স্বাভাবিকভাবে সকলের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে মহাবিশ্বের এই Fine Tuning Argument টি কী? আসলে এটি একটি মহাজাগতিক তত্ত্ব। যেখানে মহাবিশ্বের ভৌত আইন ও ধ্রুবকগুলোর মান খুব নিখুঁতভাবে সজ্জিত করা রয়েছে, এবং জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই নিখুঁত সামঞ্জস্য নিছক দুর্ঘটনা হতে পারে না, বরং এর পেছনে একটি ঐশ্বরিক পরিকল্পনা থাকতে পারে। অর্থাৎ মহাবিশ্বের এই ভৌত নিয়মগুলি জীবনকে সমর্থন করার জন্য এতটাই সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে এটি ঐশ্বরিক পরিকল্পনা ছাড়া কিছুতেই হতে পারে না। আদতে এই সূত্রটি প্রথম কেমব্রিজের গণিতবিদ পল ডিরাক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “মৌলিক ভৌত আইনগুলিকে এতটাই সুন্দর এবং শক্তিশালী গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, যা বোঝার জন্য উচ্চ স্তরের গণিতের প্রয়োজন। যেটা শুধুমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব।”

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বিতর্কের পরিবেশ বিশ্ব জুড়ে

প্রসঙ্গত, ডক্টর উইলি সুন ডিরাকের তত্ত্বের এই ব্যাখ্যা ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন টাকার কার্লসনের শো-তে। তিনি বলেন, “আমাদের জীবনকে আলোকিত করার জন্য সর্বদা এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে। ঈশ্বর আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যা আমাদের অনুসরণ করা অবশ্যই উচিত।” কিন্তু ডিরাকের তত্ত্ব এদিকে গোটা বিশ্বে এক বিতর্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। অনেকে নানা সমালোচনা করছে। কেউ কেউ মনে করছে যে, বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। আবার অনেকে মনে করছেন, বিজ্ঞান নিজেই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারে।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group