প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছরের পর বছর ধরে রাজ্যে জমি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ নবান্নের দরবারে বারংবার টোকা দিচ্ছে। জমি এবং বাড়ির রেজিস্ট্রির কাগজ নির্দিষ্ট সময় না মেলার অভিযোগ উঠছে একাধিক। তার উপর রয়েছে দুর্নীতির তাণ্ডব। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল প্রায় সর্বত্রই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে বহু মানুষের। তাই জমি, বাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি অফিসের জাল চক্র রোধ করতে এবার এক দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চালু করা হল অনলাইন প্রক্রিয়া (Land House Registration)।
যেকোনো সরকারী কাজে অর্থাৎ বাড়ির পরচা সংক্রান্ত কাজ হোক কিংবা বিদ্যুৎ মিটার বসানো এবং পুর এলাকায় মিউটেশন এর কাজ সঠিকভাবে করতে প্রয়োজন হয় জমির দলিলের। অবশ্যই সেই দলিল সার্টিফায়েড হতে হবে। কিন্তু সেসব কাজ করতে গ্রাহকদের পকেট থেকে খরচ হয় অনেক টাকা। যদিও সরকারি খরচ মাত্র ১০০ অথবা ১৫০ টাকা। কিন্তু সরকারী দফতরে এমন কয়েকজন সাধারণ মানুষ রয়েছে যারা অতি লোভে ঘুষের রাস্তা খোঁজে। গ্রাহকদের মাথা মুড়িয়ে তাঁদের থেকে আদায় করে হাজার হাজার টাকা। যা নিয়ে একাধিক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে এসে পৌঁছিয়েছে। তাই এবার নেওয়া হল এক চরম সিদ্ধান্ত।
অনলাইনেই নেওয়া হবে বড় সুবিধা!
জানা গিয়েছে, এখন থেকে কোনো গ্রাহকদেরকেই আর অফলাইনে দলিলের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ দলিলের কোনো হার্ড কপি দেওয়া হবে না। যা হবে সব অনলাইনে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এখন থেকে শুধুমাত্র রাজ্যের চালু করা অনলাইন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সার্টিফায়েড কপি হাতে পাবেন জমি-বাড়ির মালিকরা। তবে অরিজিনাল হার্ড কপি পেতে হলে ক্রেতাকে নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আইজিআর রশিদ দেখিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে। এই ব্যাপারে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও সম্পত্তি একাধিক ব্যক্তির নামে থাকলে, মূল দলিল থাকে একজনের কাছে। বাকিরা নিজেদের কাছে একটি করে সার্টিফায়েড কপি রেখে দেন।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও মিলবে এই সুবিধা
এছাড়াও জানা গিয়েছে আবেদন সহ সার্টিফায়েড কপি তোলার সরকারি খরচ কোর্ট ফি সমেত লাগে ১০ টাকা, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বাবদ ১০ টাকা, সার্চিং ফি ২ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ২ টাকা এবং প্রতি পাতা কপি করার জন্য সাড়ে সাত টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার ধাক্কা। এখন সেই খরচ টাও তুলতে হবে না। কারণ ১৯৮৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন কোটি দলিলের ডিজিটাইজেশন এবং তার যাচাই সেরে তা নির্দিষ্ট পোর্টালে তোলার কাজ শেষ করেছে অর্থদপ্তরের অধীনস্থ ডিরেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটি। ডিরেক্টরেটের পোর্টালের লিঙ্কে বা ই-ডিসট্রিক্ট পোর্টালে মিলবে এই পরিষেবা। সেক্ষেত্রে যাঁরা অনলাইনে সাবলীল নন, তাঁরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে এই সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুনঃ ভারত জিতলেও রোহিত শর্মার অবসরে অনড় সৌগত রায়, ফের করলেন বড় মন্তব্য
প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত উপনীত করার লক্ষ্যে দু’টি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত যত জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার সার্টিফায়েড কপি এতদিন অনলাইনে পাওয়া যেত। এখন থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি হওয়া সমস্ত দলিলের সার্টিফায়েড কপি মিলবে অনলাইনেই। আশা করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে লাখ লাখ মানুষের সুবিধা হবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |