বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াচ্ছে DRDO। বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা একেবারে দেশীয়ভাবে স্ব-চালিত বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক ক্ষেপণাস্ত্র ADGM-SP তৈরির প্রস্তাব পেশ করেছে। জানা যাচ্ছে, ADGM-SP ক্ষেপণাস্ত্রটি বা কামান মোবাইল গ্রাউন্ড ফোর্সকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড হিসেবে বিবেচিত হবে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, ADGM-SP ক্ষেপণাস্ত্রটি একবার তৈরি হয়ে গেলে এটি ড্রোন থেকে শুরু করে শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার ও যুদ্ধ বিমানগুলিতে সজোরে আঘাত হেনে সেগুলিকে মাটিতে নামিয়ে আনবে।
পরিকল্পিত ADGM-SP ক্ষেপণাস্ত্রটির বৈশিষ্ট্য
প্রথমত, DRDO-র তরফে পরিকল্পিত এই বন্দুকভিত্তিক প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রটি নিকটবর্তী যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মিসাইল গুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনবে।
দ্বিতীয়ত, বেশ কিছু সূত্র বলছে, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার পরিকল্পিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে VSHORADS-এর ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরের লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে নিশানা করে সেটিকে গুড়িয়ে দেবে ADGM-SP।
তৃতীয়ত, জানা যাচ্ছে, এই কম্প্যাক্ট কামান বা র্যাডারটি অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিকালি স্ক্যানড আরে প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বিম ফর্মিং ব্যবহার করে তৈরি করা হতে পারে। সেই সাথে ভারী ইলেকট্রনিক জ্যামিং সহ বিভিন্ন দুর্গম পরিবেশেও এই কামান গুলি যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সেই কথা মাথায় রেখেই এটির ডিজাইন করা হবে।
চতুর্থত, ভারতের নিরাপত্তা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা তাদের আসন্ন এই উন্নত প্রযুক্তির কামান গুলিতে থার্মাল ইমেজিং সাইড ও ট্র্যাকিংয়ের জন্য একটি অপটিক্যাল সাইড যুক্ত করবে। এই প্রযুক্তির দৌলতে নিশ্চিত করা যাবে যে কামান গুলি দিন এবং রাত উভয় সময়ই সঠিক লক্ষ্যবস্তু অর্জন করতে পারছে কিনা।
পঞ্চমত, বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, ADGM-SP শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রটি তার নির্দিষ্ট রেঞ্জ এর মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন মিসাইল সহ শত্রুদের অন্যান্য মিসাইল গুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সার্বিকভাবে সফল হবে বলেই খবর।
সিস্টেমটির ক্ষমতা
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, টুইন 30 mm বন্দুক সিস্টেমটিকে শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাথে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী পোর্টেবল মিসাইল সিস্টেম তৈরি করবে। জানা যাচ্ছে, এই নয়া প্রতিরক্ষা সিস্টেমটি 25 টন জোরাওয়ার লাইট ট্যাঙ্ক চ্যাসিসে মাউন্ট করা হতে পারে। সূত্র বলছে, এই প্রক্রিয়াটি মূলত DRDO ও Larsen & Tourbo দ্বারা যৌথ উদ্যোগে সম্পন্ন হবে।
সূত্রের খবর, গতবছর অর্থাৎ 2024 সালে এই ট্যাঙ্কটিকে লাদাখে পরীক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার একটি সূত্র দাবি করছে, সেবার লাদাখে ADGM-SP-এর প্রক্রিয়া সফল হয়েছিল। যা থেকে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, বিভিন্ন দূরপাল্লার শক্তিশালী মিসাইল, যুদ্ধবিমান গুলিকে খুব সহজেই নিজস্ব রেঞ্জ থেকে আঘাত হেনে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, সেনাবাহিনীদের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ভারত সরকারের অনুমতিতে কামান গুলির ব্যবহার শুরু হলে চিন ও পাকিস্তানের মতো বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে ভারতকে রুখে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
অবশ্যই পড়ুন: T20 বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পেয়েও সন্তুষ্ট নন হার্দিক! জানালেন নিজের আগামী লক্ষ্য
কবে নাগাদ শুরু হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র বা ট্যাঙ্কারগুলির ব্যবহার?
DRDO-র সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে যদি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার এই প্রস্তাবটি মেনে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদনের পর যথাসম্ভব আগামী 18 মাসের মধ্যে এই প্রোটোটাইপ সরবরাহ করতে পারে DRDO। সেক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি করে হাতে পেতে 2026 সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে।
তবে কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যেহেতু উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করার কাজ চলছে সে ক্ষেত্রে বেশি সময় নাও লাগতে পারে। যদিও, গোটা সিস্টেমটির উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের তরফে ছাড়পত্র পেতে পেতে অন্তত 4 বছর সময় লাগতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |