প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর ২২ মে OBC শংসাপত্র বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক এবং দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেইসময় হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি হওয়া কোনও ‘ওবিসি সার্টিফিকেট’ আর বৈধ থাকবে না। অর্থাৎ সব সার্টিফিকেটই বাতিল বলে গণ্য হবে। যার ফলে হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়।
রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশের পর প্রায় নয় মাস কেটে গেলেও OBC শংসাপত্র বাতিলের (OBC Certificate Case) নির্দেশটি কার্যকর করেনি রাজ্য সরকার। আর এই অভিযোগ নিয়ে এবার হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলায় তাই এবার নির্দেশ কার্যকর না-করায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আজ অর্থাৎ ১২ মার্চ দুপুর ২ টোয় ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে হাইকোর্টের OBC শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। তাই এখনও মামলার শুনানি চলছে। ঠিক সেই কারণে হাইকোর্ট রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাটি গ্রহণ করতে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হয়নি।
বাতিল OBC এর মাধ্যমে নিয়োগে ক্ষুব্ধ বিচারপতি
সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ OBC সার্টিফিকেট মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি হাজির হন। সেখানেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, ‘আপনারা বারবার কোর্টে আশ্বাস দেওয়ার পরেও কী করে নিয়োগ প্রক্রিয়া করছেন? গোটা ব্যাপারে কি তবে মুখ্যসচিবের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই?’ প্রশ্নের জবাবে মনোজ পন্থ বলেন, ‘আমরা বারংবার আদালতের নির্দেশ সব বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরেও কিছু বিভাগে প্রথমে সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন আর কোনও সংশয় নেই। মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে আর কোনো নিয়োগ হবে না।’
কী বললেন মুখ্যসচিব?
এছাড়াও এদিন আদালতে মুখ্যসচিবের উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় যে, ‘আপনি একজন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেক্ষেত্রে আপনার ক্ষমতা অনেক। তাহলে কীভাবে রাজ্যের মাথায় বসে থাকার পরেও আপনার অধস্তনরা আপনার কথা শুনছেন না! এটা আমাদের কাছে খুবই জটিল বিষয়।” এছাড়াও আদালত জানতে চায় “যদি কেউ আপনাদের নির্দেশ না মানে তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন না?” তখনই আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়ে মনোজ পন্থ বলেন, “আর এই ভুল হবে না। ক্ষমা করে দিন। আমরা এই ভুলের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেব।” তখনই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে সরকারের যে সব বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেই বিভাগের অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেক্ষেত্রে রাজ্য কী পদক্ষেপ নেবে তা আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যসচিবকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভয় পাবে শত্রুরা! এবার স্ব-চালিত এয়ার ডিফেন্স মিসাইল পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, বড় পরিকল্পনা DRDO-র
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |