প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ফের আরেকটা বিধানসভা ভোট। তাই এখন থেকেই নির্বাচনের ময়দানে জোরকদমে কাজে লেগে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বর্তমানে মন্দির-মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির-রামমন্দির, হিজাব-রোজা-ইফতার (Iftar Party) নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি এখন ধর্ম-সরগরম হয়ে রয়েছে। ধর্মের নামে রীতিমত মানুষের কাছ থেকে ভোট আদায়ের কাজ চলছে। আর এই আবহে, গতকাল হুগলির ফুরফুরা শরিফে ইফতার পার্টির আয়োজন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মহা সমারোহে এই পার্টি আয়োজিত হলেও মন ভরল না পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির।
ইফতার পার্টির আয়োজন মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। কিন্তু পার্টিতে এসেও যেন আনন্দে খামতি থেকে গেল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি রীতিমত রাগ ক্ষোভ উগরে ফেললেন সাংবাদিকদের কাছে। ইফতারির পরে যখন ত্বহা সিদ্দিকি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন সাংবাদিকরা তাঁর মুখোমুখি হয়ে ইফতারি পার্টি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। সেই সূত্রেই ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীরে ইফতার সেটা সফল হয়নি। কিন্তু তবুও মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে সফল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই পীরজাদা। আসলে তা কিন্তু নয়। আমি গিয়েছিলাম। সবটাই ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছিলাম।”
মুখ্যমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিল নিজের দল!
এদিন ত্বহা সিদ্দিকি আরও বলেন যে, “দলের লোকেরাই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রাখল। কথা ছিল এই ইফতার পার্টিতে ৮০ জন পীরজাদা পীর সাহেব যাবেন। কিন্তু দেখা গেল ২০ র বেশি যায়নি। উল্টে যারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতেন তারা ওখানে গিয়েছিলেন। এদিকে সেই সকল পীরজাদাদের বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত উন্নয়ন করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁরা তবুও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিতে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে সেখানে আসন ভরানো হয়েছিল। সেই কারণেই আমার যেতে ঘেন্না করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আশীর্বাদ ও দোয়া করি। তিনি বাংলায় যে উন্নয়ন করছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুনঃ গোপন জবানবন্দিতে পার্থর কোটি কোটি টাকার কীর্তি ফাঁস করলেন জামাই!
স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ত্বহার
এছাড়াও এদিন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “বিধায়ককে একদমই প্রয়োজনের সময় দেখা পাওয়া যায় না। যখন আসেন একেবারে পাউডার মেখে আসেন। নিজেকে দাম্ভিক মনে করেন। আমাদের কপাল ভালো এরকম একটা এমএলএ পেয়েছি। উনি ১৪ বছরে ১৪ হাজার টাকা খরচ করতে পারেননি। মূখ্যমন্ত্রী ভালো ভাবে জানেন ত্বহা সিদ্দিকী কী জিনিস, স্নেহাশিস কী জিনিস।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন যে, “ ২০২৬ সালে যারা প্রার্থী হবে তাদের যেন মন মানসিকতা ভালো থাকে। তাঁরা যেন মানুষ হিসেবে কাজ করেন। ফুরফুরায় উন্নয়ন বলতে যতটা দরকার ততটা না হলেও উন্নয়ন হয়েছে। তবে আমি শুধু ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন চাই না বাংলার উন্নয়ন চাই।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |