প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার OBC সংক্রান্ত মামলার (OBC Certificate Case) শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বিচারপতির কাছে ওবিসি মামলার শুনানির সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, “প্রশাসন ইতিমধ্যে OBC শংসাপত্র নিয়ে নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে, এবং সেখানে ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া যেহেতু সম্প্রতি শুরু হয়েছে তাই সেটি সম্পূর্ণ করতে সম্পূর্ণ করতে আরও তিন মাস সময় চেয়েছিল রাজ্য সরকার। আর তাতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
২-৩ লক্ষ নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার
এদিকে রাজ্যকে সময় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বেশ খুশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই আবহে তিনি রাজ্যের নিয়োগ সংক্রান্ত এক বড় সিদ্ধান্ত তুলে ধরলেন বিধানসভায়। আজ অর্থাৎ বুধবার, বিধানসভায় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ওবিসি নিয়ে গতকাল একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। খারাপ কিছু বলেনি। এই সমস্যা মিটে গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ২-৩ লক্ষ নিয়োগ হবে।’’ এছাড়াও তিনি এও জানিয়েছেন যে বিরোধীরা বারংবার রাজ্য সরকারের কাজে বন্ধ দিয়ে এসেছে। এমনকি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই সেই বিষয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে শত্রুতা করে নিয়োগ আটকাবেন না।”
কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?
এছাড়াও গত সোমবার হুগলির ফুরফুরা শরিফে যেদিন মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন ইফতার পার্টিতে, সেদিনও ইফতারের মঞ্চ থেকে ওবিসি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি ওবিসি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করে নিয়োগ আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই প্রসঙ্গে বিরোধী দল বিজেপি অভিযোগ করেছে যে, “একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে প্রকৃত ওবিসিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে”। এছাড়াও বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, “রাজ্য সরকার শুধু ভোটের রাজনীতি করছে। হাইকোর্টের বাতিল করা ওবিসি তালিকা অগ্রাহ্য করে তারা আরও তিন মাস সময় চেয়েছে। এর অর্থ, এই আমলে আর কোনও নিয়োগ হবে না। ফলে বাংলার ২ কোটিরও বেশি বেকার যুবক-যুবতীর ভবিষ্যৎ ইচ্ছে করেই সরকারঅন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে”।
আরও পড়ুনঃ অবৈধ মসজিদ ভাঙার কাজে দেরি! TMC-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ মে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট সঠিক নিয়ম মেনে হয়নি। তাই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র অকেজো হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সুপ্রিম কোর্টে চলছে সেই মামলা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |