প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে জল্পনায় সত্যি হল। গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পৌঁছিয়েছেন লন্ডনে। জানা গিয়েছে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতার (Mamata Banerjee) সঙ্গেই তিনি যাবেন কেলগ কলেজে। সেখানকার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা নাগাদ লন্ডন থেকে সড়ক পথে মমতা রওনা দেবেন অক্সফোর্ডে। নারী ক্ষমতায়ন এবং বাংলায় উন্নয়নের মডেল তুলে ধরবেন বাংলার ‘কাছের মেয়ে, কাজের মেয়ে’। তাঁর ভাষণ শোনার জন্য সকলে এতটাই আগ্রহী যে প্রেক্ষাপট রীতিমত হাউজফুল। এমনকি মমতার ভাষণ শুনতে চেয়ে অনেকেই এখন ওয়েটিং লিস্টে। আর এই আবহেই আজ এই প্রেক্ষাপটে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠতে চলেছে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠবে?
বিরোধী দলের একাধিক অভিযোগ এবং বিতর্ককে তুড়ি মেরে মুখ্যমন্ত্রী আজ নানা সামাজিক প্রকল্প চালনা এবং নারী ক্ষমতায়নের যে মডেল গোটা রাজ্যকে পরিচালনা করে আসছেন, তাই নিয়ে তিনি আজ অক্সফোর্ডের বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবেন। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে আরজি কর কাণ্ডের। লন্ডনের হিম ভেজা বাতাসে শীতল পরিবেশে আরজি কর প্রসঙ্গ যে দারুণ উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোই জানেন। তবে চিন্তা নেই, এক হাতেই সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি তিনি। তিনি মনে করেন গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো মজবুত করতে গণতন্ত্রে সবার প্রশ্ন করার অধিকার থাকা উচিত।
প্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী
আর এই গনতান্ত্রিক প্রশ্নে আরজি কর কাণ্ডের ঘটনা যে এক দারুণ প্রভাব ফেলবে তা জানতে বাকি রাখেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাইতো সেই সময় আরজি কর কাণ্ডে বারবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আলোচনায় ডেকে নিজেও উদাহরণ তৈরি করেছেন তিনি। তাই সেক্ষেত্রে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন এলে সটান উত্তর দিতে প্রস্তুত তিনি। এই বিষয়ে মমতা জানিয়েছেন যে, “ওরা বল করলে আমিও ব্যাটিং শুরু করব! ছক্কা মারব। ওরা কি ভেবেছে আমি তৈরি হয়ে আসিনি? নথি আমার কাছেও আছে। আমিও জবাব দিতে জানি।” উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আজ মুখ্যমন্ত্রী যে হলে ভাষণ দেবেন সেখানে এর আগে কিং চার্লস, বান কি মুন, ডেসমন্ড টুটুর মতো জগৎবিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য রেখেছেন। তাই বাংলার কাছে এ এক নজিরবিহীন ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ ইউনূসকে চিঠি মোদীর, মুক্তিযুদ্ধর ইতিহাস স্মরণ করে উপদেষ্টাকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি করে ধর্ষণ ও খুন হয়েছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসক। তাঁর মৃত্যুতে রীতিমত উত্তাল হয়ে পড়েছিল বাংলা। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তদন্তভার পায় সিবিআই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা কুৎসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশের তদন্তেই মান্যতা দেয় সিবিআই। কিন্তু এখনও ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সাজায় খুশি নয় রাজ্য।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |