শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: সুখের দিন শেষ এবার বাংলায় হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা সকাল হোক বা বিকেল বাইরে বেরোতে গেলেই রীতিমতো কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। কলকাতায় খুব বেশি গরম না থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা এমন রয়েছে যেখানে তাপমাত্রা হু হু করে আরো বাড়ছে। আগামী দিনে এই পারদ আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে উর্দ্ধমুখী তাপমাত্রার মাঝেই এবার বদলে গেল স্কুলের সময়সীমা। আপনার সন্তানও কি স্কুলে পড়ে? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
বদলে যাচ্ছে স্কুলের সময় | School Timing |
মার্চের শেষেই তীব্র তাপদাহে পুড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ। যা কিনা সকলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি এরকম পরিস্থিতি হয় তাহলে সামনে এপ্রিল, মে মাস পড়ে রয়েছে। তখন কী হবে সেটা ভেবেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে অনেকের। সবথেকে চিন্তার বিষয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এহেন পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলগুলি আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে মর্নিং সেশনে বা প্রাতঃবিভাগে করার নির্দেশিকা জারি করলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ-র চেয়ারম্যান অনিমেষ দে।
অর্থাৎ গরমের সময়ে এবার নতুন সময়ে শুরু করে স্কুলের পঠনপাঠন। সোম থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১১টা এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্কুল হবে। নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলও দিতে হবে।
কী বলছেন প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান?
সংসদের সভাপতি অনিমেষ দে জানান,‘এই সময়ের মধ্যে তাপপ্রবাহ বা কোনো জরুরি কারণে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকার কিংবা পর্ষদের তরফে কোনও নির্দেশিকা পাঠানো হলে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। না হলে এই বিজ্ঞপ্তি মেনেই জেলার প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদী স্কুলগুলি পরিচালিত হবে।’
শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাট বদল, এবার থেকে স্কুলের বদলে পর্ষদই তৈরি করবে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র
এপ্রিল থেকে বদলাচ্ছে নিয়ম
আগামী এপ্রিল মাসে স্কুলগুলোর ক্লাসের দু’রকম দৈনিক রুটিন প্রকাশ করে সকলকে চমকে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলে এপ্রিলে একই সঙ্গে মর্নিং এবং ডে বিভাগের এই রুটিন দেখে অবাক শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। কেউ কেউ বিষয়টিকে ভালো বলছেন তো আবার কেউ কেউ এটিকে ভালো চোখে দেখছেন না। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এহেন রুটিন দেখে বিভিন্ন শিক্ষক থেকে সুর করে অভিভাবকরা নানা কথা বলছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |