বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির ওপর ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তাজমহল তৈরি করেছিলেন শাহাজাহান। মূলত, মুমতাজের প্রতি ভালবাসার চিহ্ন হিসেবেই সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম প্রাসাদটি তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাট।
এবার কার্যত সেই একই চিত্র ধরা পড়ল মধ্যপ্রদেশেও(Madhya Pradesh)। শাহজাহানের দেখানো পথে হেঁটে এবার স্ত্রীয়ের প্রতি নিষ্পাপ ও নির্ভেজাল ভালবাসার নজির হিসেবে তাজমহলের আদলে রেপ্লিকা বাড়ি তৈরি করে তাক লাগালেন মধ্যপ্রদেশের স্কুল শিক্ষক আনন্দ প্রসাদ চৌসকি।
মধ্যপ্রদেশের নতুন তাজমহল!
স্ত্রী, মঞ্জুষাও একজন স্কুল শিক্ষিকা। দীর্ঘ বৈবাহিক জীবনে জীবন সঙ্গিনীকে বহু উপহারই দিয়েছেন আনন্দবাবু। তবে 52 বছরের সিঁড়িতে পা রেখে একেবারে তাজমহলের আদলে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী মঞ্জুষাকে তাজ্জব করলেন তিনি। শাহজাহান দীর্ঘ 22 বছর সময় নিয়ে তাজমহলটি তৈরি করেছিলেন, তবে আনন্দ বাবুর সময় লেগেছে মাত্র 3 বছর।
সেই তুলনায় মধ্যপ্রদেশের নতুন তাজমহলটিও আগ্রার সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম আকর্ষণটির মাত্র এক তৃতীয়াংশ। তবে তা হলেও ভালবাসার মানুষকে এমন উপহার দেয় কজন? জানা গিয়েছে, তাজমহলের মতোই আনন্দ বাবুর মিনি তাজমহলের চূড়াটিও 29 ফুট লম্বা। সেই সাথে এর বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গে মার্বেলের কারুকার্য রয়েছে।
গুনতে হয়েছে মোটা টাকা
27 বছরের বিবাহিত জীবনকে বিশেষ করে তুলতে স্ত্রীয়ের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে প্রায় 50 একর জমির ওপর এই বহুমূল্য প্রাসাদটি তৈরি করেছেন আনন্দ বাবু। জানা গিয়েছে, তাজমহলের আদলে তৈরি বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় মাকরানা মার্বেলের কাজ রয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, বাড়ির মালিক আনন্দ বাবু জানান, স্ত্রীয়ের প্রতি ভালবাসার প্রদর্শন হিসেবে তাজমহলের আদলে এই রেপ্লিকা বাড়িটি তৈরি করতে তাঁর এখনও পর্যন্ত 2 কোটি টাকা খরচ হয়েছে। উল্লেখ্য, মনমুগ্ধকর বাড়িটির জমিতে একটি হাসপাতাল রয়েছে। সেই সাথে 4 বেডরুমের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি ও একটি ধ্যান কক্ষও রেখেছেন ওই শিক্ষক।
আনন্দ বাবুর বক্তব্য…
স্ত্রীয়ের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে ভারতের দ্বিতীয় তাজমহল বানিয়ে তার চূড়ায় জাতীয় পতাকা লাগানোর কথা ভেবেছেন মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আনন্দ বাবু জানান, চারিদিকে শুধু হিংসা আর বিদ্বেষ।
অবশ্যই পড়ুন: ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিশপ্ত দিন ৭ এপ্রিল! আজই কেরিয়ার শেষ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ২ মহারথীর
তাজমহল হল ভালবাসার প্রতি। আমি এবং আমার স্ত্রী মাঝেমধ্যেই আগ্রার তাজমহলে যেতাম। শাহজাহানের তৈরি ওই প্রাসাদ আমাকে খুবই আকৃষ্ট করতো। তাই স্ত্রীয়ের প্রতি ভালবাসা থেকে ও সমাজের মধ্যে ভালবাসা ছড়িয়ে দিতেই এই তাজমহলস্বরূপ বাড়িটি বানিয়েছি। একজন স্কুল শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |