বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিন সহ অন্যান্য শত্রুদের শায়েস্তা করতে এবার জলপথে নতুন পরিকল্পনা ভারতের (Indian Navy)! সূত্রের খবর, ভারত মহাসাগরে পারমাণবিক সাবমেরিন ও অন্যান্য যুদ্ধ জাহাজের জন্য সুকৌশলে নতুন নৌঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা ফেঁদেছে দিল্লি।
জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে হারে নৌ অভিযান চালাচ্ছে চিন, তাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যথেষ্ট চিন্তিত। আর সেই সূত্র ধরেই, জলপথে ড্রাগনের দেশের নৌ অভিযানের দিকে নজর রেখেই অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন নৌ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে ভারত।
কর্ণাটকের কারওয়ার নৌঘাঁটি উন্নত হচ্ছে
বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিম ভারতের। সমুদ্র তীরে কর্ণাটকের কারওয়ার নৌঘাঁটি উন্নতির কাজ শুরু করেছে দিল্লি। জানা যাচ্ছে, প্রজেক্ট বর্ষার আওতায় রামবিলি ঘাঁটির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজও প্রায় শেষের পথে। বর্তমানে প্রজেক্ট সিবার্ডের অধীনে কর্ণাটকের কারওয়ার নৌঘাঁটিতে পুরোদস্তুর কাজ চলছে।
বিশেষজ্ঞ মহল সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত ও পরিবেশগত নানান প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে বর্তমানে দ্রুত গতিতে চলছে নৌঘাঁটি তৈরির কাজ। বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দরের অভ্যন্তরীণ কাজ, ব্রেক ওয়াটার এবং জেটি সহ বাইরের বন্দরের প্রয়োজনীয় অংশের কাজ এখনোও চলছে। শেষ হতে আপাতত সময় লাগবে।
চলতি বছরই নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন কমিশন পাচ্ছে ভারত…
বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছরেই তৃতীয় পারমানবিক সাবমেরিন কমিশন করতে চলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক পারমাণবিক জলযানটির মধ্যে থাকবে পারমাণবিক-টিপড ব্যলস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র INS আরিধামান। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ জানিয়েছেন, এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র জলভূমিতে শত্রুদের চিহ্নিত করে নিকেশ করবে।
এই উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের পূর্বের দুই সাবমেরিনের আরিহান্ট ও INS আরিঘাটের তুলনায় অনেকটাই বড়। সেই সাথে ক্ষমতার দিক থেকে প্রায় 3500 কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত অতিরিক্ত K4 মিসাইল বহন করতে পারবে এই সিস্টেম।
চতুর্থ সাবমেরিন তৈরিতে বিরাট বিনিয়োগ
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, শত্রুদের ঠেকাতে জলপথে প্রায় 90 হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে চতুর্থ সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। মূলত অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল প্রজেক্টের অধীনে তৈরি হচ্ছে এই সাবমেরিন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এটি মূলত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন তৎপর পরিস্থিতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
অবশ্যই পড়ুন: পরপুরুষে আসক্তি? যে কারণে ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ হতে পারে মেরি কমের
উল্লেখ্য, নতুন প্রকল্পের অধীনে ভারত যে নৌঘাঁটি তৈরি করছে তাতে কমপক্ষে 32 মেজর বার্থ যুদ্ধজাহাজ, একাধিক সাবমেরিন ও 23 ইয়ার্ড ক্র্যাফটের জায়গা হবে। একই সাথে ফেজ 2 নির্মাণ প্রক্রিয়া একবার শেষ হয়ে গেলে কর্নাটকের নৌঘাঁটির আয়তন আরও বাড়বে। যার ফলে এখানে কমপক্ষে আরও 50টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখা যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, জলপথে দিল্লির এই নয়া পরিকল্পনা শত্রুদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে।