প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে মাধ্যমিক (Madhyamik 2025) এবং গত মাসেই শেষ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফলপ্রকাশের চেষ্টা করে থাকে পর্ষদ। আর সেই হিসেব অনুযায়ী আগামী মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হতে পারে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু চলতি বছর এই দুই বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তৈরি হয়েছে এক জোর জল্পনা। খাতা দেখা নিয়েও তৈরী হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে জটলা। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন করে হয়ত ফের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে সকল ছাত্রছাত্রীকে।
গত বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। যার ফলে রাতারাতি রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার (২৫,৭৫২) শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরিহারা হয়ে গিয়েছে। যদিও একবছর আগে কলকাতা হাই কোর্টও চাকরি বাতিলের রায়ই দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং এসএসসি কমিশন সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা মামলা তোলে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। যোগ্য অযোগ্য নির্ধারণে কমিশন অপারগ থাকায় বলির পাঁঠা হতে হল সকলকে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই রায়ে শুধু চাকরি থাকবে ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস এর।
ভাইরাল পোস্ট ঘিরে আতঙ্ক
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে জেলায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি স্কুল থেকে হামেশাই উঠে আসছে শিক্ষক নেই। অনেকেই চাকরি হারিয়ে আর বোর্ডের খাতা দেখতে চাইছে না। তাই অভিমানের সুরে অনেকেই পরীক্ষার খাতা ফেরৎ দিয়ে দিচ্ছে। আর এই মুহূর্তে হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি বেশ ছড়িয়ে পড়েছে সকলের সোশ্যাল ফিডে। যেখানে লেখা রয়েছে, “২০২৫ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে সকল ছাত্রছাত্রীর। জানিয়ে দিল শিক্ষক সংগঠন।” সঙ্গে ওই ছবিতে লেখা রয়েছে, “খাতা দেখা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।” এই পোস্ট ভাইরাল হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ দিদি প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বোনকে ধর্ষণ কোলাঘাটে! পায়ুদ্বারে কাঁটা চামচ ঢুকিয়ে অত্যাচার
কী বলছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ?
যদিও যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তা যে পুরোপুরি ভুয়ো, তা এই ছবির আদল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ যে হরফে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে, তা ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে ব্যবহার করা হয় না। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিকের আয়োজক সংস্থা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে গতকাল, মঙ্গলবার সংসদের তরফে একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, এসএসসি মামলার রায়ে যে শিক্ষকরা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাঁরা যদি চান, তাহলে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারবেন। এছাড়াও যদি কেউ নিজে থেকেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে না চান, তাতেও সংসদের আপত্তি নেই। তখন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের থেকে উত্তরপত্র দিয়ে অন্যদের দেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |