সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের অমরোহা জেলার এক কাল্পনিক প্রেমের কাহিনী ভাইরাল। তবে কাল্পনিক ঘটনা হলেও সেটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সমাজের প্রচলিত ধারা, বয়সের ফারাক, ধর্ম সবকিছুই যেন মাটিতে মিশে গেল ভালোবাসার টানে। ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা, যে কিনা তিন সন্তানের মা। এবার তিনি বিয়ে (Marriage) করে বসলেন এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রকে। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই সত্যি। তবে এখানেই শেষ নয়। এই ভালোবাসার টানে তিনি নিজের ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে মুসলিম থেকে হিন্দু হন। আর নাম পাল্টে শবনম থেকে হয়ে যান ‘শিবানী’।
আগের দুই সংসার ভাঙার পর….
সূত্র খতিয়ে জানা দিয়েছে, শিবানীর জীবনে আগেও দুইবার বিয়ে হয়েছিল। প্রথমবার বিয়ে হয় মেরঠের এক যুবকের সঙ্গে, যে সম্পর্ক পরে বিচ্ছেদের পথে গড়ায়। আর দ্বিতীয়বার তিনি সইদানওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা তৌফিককে বিয়ে করেন। তবে ২০১১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তৌফিক গুরুতর আহত হন এবং তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। আর ধীরে ধীরে সেখান থেকেই সংসারের টানাপোড়েন বাড়ে।
নতুন প্রেম গড়ালো বিয়ের পথে!
সম্প্রতি বিবাহিত জীবনে মোড় ঘুরে যায় শিবানীর। তিনি শেষমেষ প্রেমে পড়লেন এক ১৮ বছর বয়সী যুবকের সঙ্গে। আর তিনি কিনা দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ছেন। পরিবার এবং সমাজের গণ্ডি পেরিয়ে শিবানী তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করেন। এরপর নিজের নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করে নতুন পরিচয়ে শুরু করেন নতুন জীবন। এমনকি মন্দিরে গিয়ে তারা হিন্দু রীতিতে মালাবদল সারেন।
সমাজের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর বিভিন্নরকম প্রশ্ন উঠছে সমাজের অন্তর মহলে। ধর্মীয় পরিবর্তন বলুন বা বয়সের ফারাক, সবকিছু নিয়েই উঠছে বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তরণ আইন Uttar Pradesh Prohibition of Unlawful Conversion of Religion Act, 2021 অনুযায়ী জোর করে প্রলোভন দেখিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ। যদিও শিবানী ধর্মান্তর করেছে স্বেচ্ছায়, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখন পুলিশের নজরে।
হাসানপুর সার্কেল অফিসার দীপকুমার পন্থ জানিয়েছেন, শিবানীর মা-বাবা বর্তমানে কেউ বেঁচে নেই। তিনি আগে দুবার বিবাহর পথে পা বাড়িয়েছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত কারোর পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। পুলিশ বিষয়টি হস্তক্ষেপ করছে।
আরও পড়ুনঃ ১০ টাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিট না কাটায় কোর্টে চালান, ক্রিমিনালের মতো ব্যবহার যাত্রীর সঙ্গে!
যুবকের পরিবারের প্রতিক্রিয়া
এখানে সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, এই ১৮ বছর বয়সী ছাত্রের পরিবারও এই বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি। বরং তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। ছেলের বাবা বলেছেন, “ছেলের খুশিতেই আমাদের খুশি, তাই আমরা চাই ওরা সুখে শান্তিতে সংসার করুক।” তবে সমাজের একাংশের মতে, সদ্য ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ কীভাবে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহের পথে পা বাড়ান? আবার অনেকেই বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আইন অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |