প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বেশ কিছুদিন লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনার (Weather Update) কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এমনকি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির খবর মিলেছে। আসলে চৈত্রের শেষলগ্নে গরমের প্রকট এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। তবে এবার আবহাওয়া খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজ্যের তাপমাত্রা। আর এর পিছনে অন্যতম কারণ হল ঝড় বৃষ্টি।
আবহাওয়ার শেষ আপডেট অনুযায়ী আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে চলেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। তার উপর জোড়া অক্ষরেখার প্রভাব থাকবে। জানা গিয়েছে একটি অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে গাল্ফ অফ মান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এবং এটি মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে যাবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে যাবে। এর জেরেই মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন থাকবে আগামীকালের আবহাওয়া।
দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা যেমন সামান্য পরিমাণে কমবে, আবার রোদ উঠলেই ভ্যাপসা গরমের পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুনঃ নবান্নের নির্দেশে প্রত্যাবর্তন? মোহনবাগানে আসতে চলেছেন বড় ব্যক্তিত্ব
উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। জানা গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঝড়ের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে। দার্জিলিং থেকে মালদহ সব জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। এছাড়াও, বেশ কিছু অংশে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা, অসম ও মেঘালয়ে।