প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সদ্য চাকরি হারিয়েছেন এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের ২৫ হাজার ৭৫২ হাজার শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী। আর এই আবহে সকলের মনে স্থায়ী সরকারি চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই আতঙ্ক যে এক শিক্ষকের প্রাণ এইভাবে কেড়ে নিতে পারে তা একদমই কেউ আশা করেনি। নববর্ষের দিনে ৪২ বছরের তেঁতুলবেড়িয়ার গোচরণ টি এস সনাতন হাইস্কুলের এক শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুলতলিতে। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
সাংবাদিক সম্মেলন করে বারুইপুর পুলিশ!
এদিকে আত্মঘাতী এই শিক্ষকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দল বিজেপি রীতিমতো ওই শিক্ষকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করে যে, ওই শিক্ষক চাকরি হারিয়ে হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সত্যিটা আলাদা! আসলে ওই শিক্ষক ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলেরই নন। তিনি ২০১২ সালের সালের এসএসসি প্যানেলের শিক্ষক, সুতরাং চাকরি হারানোর কোনও বিষয়ই নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো তথ্য। আর এই আসল তথ্য ফাঁস করে দেয় বারুইপুর জেলা পুলিশ (Baruipur Police)। যদিও এর আগে indiahood’ও আসল সত্য তুলে ধরেছিল। গতকাল কুলতলির বাসিন্দা তথা শিক্ষক প্রণব নাইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারুইপুর পুলিশ। যা পরে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
আত্মঘাতী শিক্ষকের ঘটনাকে ঘিরে ভুয়ো তথ্য !
গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুর জেলা পুলিশের অফিসিয়াল পেজ থেকে আত্মঘাতী শিক্ষকের ঘটনাকে নিয়ে পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান, “ নববর্ষের সকালে কুলতলির বাসিন্দা প্রণব প্রতিম নাইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। ২০১২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, ২০১৫ সালে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার একটি স্কুলে চাকরি জীবন শুরু করেন। এরপর ২০২২ সালে তিনি জয়নগরের টি এস সনাতন স্কুলে যোগদান করেন। এবং বর্তমানেও সেই স্কুলেই কর্মরত ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর চাকরি বাতিলের কোনো প্রসঙ্গই নেই। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত রুজু করা হয়েছে। এবং তার মৃত্যুর আসল কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”
পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ের আর্জি পুলিশের
এছাড়াও পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি কুলতলি শিক্ষকের আত্মঘাতী নিয়ে রটা গুজব নিয়েও জানিয়েছেন যে, “ কিছু মানুষ এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিভিন্ন অসত্য তথ্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছে। এই পোস্টে বলা হচ্ছে যে চাকরি হারানোর কারণেই নাকি এই ব্যক্তিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যা পুরোপুরি মিথ্যা। তাই সমাজ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনকারী এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি সবার কাছে আবেদন করেছে যে, কোনও ছবি, ভিডিও, তথ্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট বা শেয়ার করার আগে সত্যতা যেন যাচাই করে নেওয়া হয়। কারণ কারও দ্বারা সামাজিক মাধ্যমে কোন অসত্য তথ্য পরিবেশিত হলে তার দায় সম্পূর্ণভাবে সেই ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ, নতুন স্থায়ী বিচারপতি পেতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |