প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ওয়াকফ হিংসায় অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। হিংসা ছড়িয়েছে জঙ্গিপুরের শমসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো অঞ্চলে। আর সেই অশান্তিতে গত ১২ এপ্রিল, শনিবার প্রাণ হারান শমসেরগঞ্জের হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস। সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও ছেলে হন। অভিযোগ, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এদিকে বাড়ির দুই সদস্যের নৃশংস হত্যার পর যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে। এখনও ভয়ে কাঁটা হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবার। এমতাবস্থায় হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারে জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সেই ক্ষতিপূরণ তাঁরা নেবেন না বলে জানালেন দাস পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মমতার
হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী অপঘাতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম তিন দিনের মাথায় সেরে ফেলতে হয়। তাই গতকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওয়াকফ হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের শ্রাদ্ধকর্ম করার জন্য আসেনি কোনো পুরোহিত। এমনকি ছিল না ক্ষৌরকার সকলেই ভয়ে এতটাই আতঙ্কিত যে কেউ এগিয়ে আসেনি, এমনই অভিযোগ দাস পরিবারের। শেষ পর্যন্ত তাই পুরোহিত ছাড়াই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয় হরগোবিন্দ এবং চন্দনের। এদিকে গতকালই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।
ক্ষতিপূরণ নিতে নারাজ পরিবারের
কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হলেও হরগোবিন্দের স্ত্রী পারুল দাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি মমতার ঘোষিত টাকা নেবেন না। বরং তিনি যেন গ্রামে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির দাবি জানান। যাতে স্থানীয়রা নিরাপদে এবং সুরক্ষিত থাকেন। পাশাপাশি দোষীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় তার আবেদন জানান। এদিকে বাবা-ছেলের এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের সুতি ও বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম কালু নাদাব ও দিলাবর নাদাব।
আরও পড়ুনঃ যোগ্যদের চাকরি থাকবে! বাদ পড়বেন অযোগ্যরা? আজ সুপ্রিম কোর্ট শুনবে পর্ষদের আর্জি
ADG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছিলেন, ধৃতদের বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা ও মুর্শিদাবাদের সুতির বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে গতকাল ওয়াকফ ইস্যুতে ইমাম মোয়াজ্জেমদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়া হবে। এছাড়াও যাদের দোকানপাট ভেঙে গিয়েছে, তাদেরকেও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |