প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৩ এপ্রিল এসএসসির (SSC Case) চাকরি বাতিলের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল। রাতারাতি চাকরি চলে যায় ২৫,৭৩৫ জনের। ওই নির্দেশেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’, তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। এদিকে আদালতের সেই নির্দেশের পর দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। তার উপর চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছিল। যদিও সেই রায়ে গতকাল বিরাট স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই স্বস্তি এবং সাময়িক আনন্দের মাঝে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা উঠল।
ফের অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার!
চাকরি বাতিলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় সঙ্কটের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত নন’, তাঁদের চাকরি আপাতত বজায় রাখা হোক। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন ‘দাগি’ নন এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্য সরকারকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং সেই মর্মে হলফনামা দিতে হবে। এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছে আদালত। আর তার মাঝেই এবার হাই কোর্টে মামলায় আবার অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হাইকোর্টে!
গত ৩ এপ্রিল এসএসসির চাকরি বাতিল মামলায় রায় প্রদানের সময় ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুধু তাই নয় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চাকরিহারাদের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়নি। তাই এই দুইয়ের অভিযোগে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। জানা গিয়েছে আগামী সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির উঠবে। মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম ব্যানার্জি।
আরও পড়ুনঃ বেতন নিয়ে চিন্তা দূর? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা মমতার
প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত চলাকালীন সিবিআই ২২ লক্ষ ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল। এইমুহুর্তে সেই ওএমআর শিট গুলি কমিশনের কাছে রাখা আছে। আর সেগুলিই আদালতে প্রকাশ্যে আনার কথা বলেছিল। তা এখনও দেখানো হয়নি। এমনকি অযোগ্য হিসেবে যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, বেতনের পোর্টালে এখনও তাঁদের নাম রয়েছে। তাই মামলাকারীদের বক্তব্য, পোর্টাল থেকে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে। এবং শীঘ্রই প্রকৃত ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাতে কোনও অযোগ্য নতুন করে পরীক্ষায় বসতে না-পারেন।’’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |