সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: একধাক্কায় রাজ্যের প্রায় 26 হাজার চাকরিহারা প্রার্থীদের এখন টালমাটাল অবস্থা। তার ওপর এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার পরিস্থিতি উত্তাল। একদিকে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আর অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে বৈধ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি। এই দুইয়ের মাঝে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিকাশ ভবন ও এসএসসি দপ্তর।
বুধবারের মধ্যেই শিক্ষা দপ্তরে বৈধ শিক্ষকদের তালিকা পৌঁছে যাবে
সোমবার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন এসএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বৈঠকের পরে কমিশন জানায়, আগামী বুধবারের মধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর এই তালিকা তিনটি পর্যায়ে পাঠানো হবে বলেই সূত্রের খবর।প্রথম পর্যায়ে থাকবে নিষ্কলঙ্ক প্রার্থীদের নাম, অর্থাৎ যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনপ্রকার সমস্যা নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে যাদের ওএমআর সিট বা লিখিত পরীক্ষায় সামান্য অসঙ্গতি ছিল তাদের নাম। আর তৃতীয় তালিকায় থাকবে একেবারে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম।
তালিকা দেখতে এসএসসিতে ডাকা হল চাকরিহারা প্রার্থীদের
এসএসসি কর্তৃপক্ষ এবার সরাসরি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাদেরকে এই তালিকা খতিয়ে দেখার জন্যই ডাকা হয়েছে। একজন চাকরিহারা শিক্ষক বলেছেন, আমরা দেখবো এই তালিকায় কোন কারচুপি রয়েছে কিনা। যদি থাকে, তাহলে আমরা তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়ে আসবো। অন্যদিকে আরেকজন চাকরিহারা শিক্ষক জানিয়েছেন, এই তালিকা ঘিরে অনেক সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। তাই এই তালিকার স্বচ্ছতা বজায় রাখা খুবই জরুরী।
এসএসসি চেয়ারম্যানকে ঘেরাও
সোমবার প্রায় 5 ঘন্টা ধরে বৈঠকের পর কোন ইতিবাচক আশ্বাস মেলেনি। এরপর তারা এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে ঘেরাও করে রাখেন বলেই খবর। মঙ্গলবার নতুন করে 6 জন প্রতিনিধি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে আন্দোলনের গতি থামছে না, ওদিকে চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন চাপ বাড়াচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছল বাংলার DA মামলা, পরবর্তী শুনানি নিয়েও খারাপ খবর
বিকাশ ভবনের তরফে DIR-দের চিঠি
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এক চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টরদের কাছে। হ্যাঁ, এই চিঠিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে, 2016 সালের এসএসসি নিয়োগে যারা যোগ্য, তাদের তালিকা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের 17ই এপ্রিলের নির্দেশ অনুযায়ী যারা এখনও অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়নি, তারা 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এমনকি তাদের বেতনও দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা কমিশনের তরফ থেকে। এখন এই মামলার জল কতদূর গড়ায়, সেটাই দেখার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |