প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: পুলওয়ামা হামলার পর এবার কাশ্মীরে পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিরা পর্যটকদের টার্গেট করে গুলি চালিয়ে প্রায় ২৬ জনকে মেরে ফেলেছে৷ যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তবে মৃত্যু মিছিল আরও দীর্ঘ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে হামলা করা হয়। ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় পাক জঙ্গিগোষ্ঠী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ স্বীকার করেছে। আর সেখানেই পাকিস্তানের যোগসূত্র তুলে ধরছে গোয়েন্দা সংস্থা। এই আবহে তাই পহেলগাঁও’তে জঙ্গি হামলা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান।
হামলা প্রসঙ্গে কী বলছে পাকিস্তান?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পহেলগাঁও’তে জঙ্গি হামলার কোনও যোগ নেই। এমনকি তিনি এও জানান যে পহেলগাঁও’তে যারা হামলা চালিয়েছে তারা নাকি ভারতের মাটিতেই তৈরি। এদিকে পাক মন্ত্রীর এই কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাঁরা দাবি করেছে, যারা পহেলগাঁও’তে হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে পাকিস্তানেরও কয়েকজন রয়েছে। এমনকি পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবারই সামনের সারির সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে দায় স্বীকার করেছে। সেক্ষেত্রে যে এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে তা প্রমাণিত।
ভারতকে দোষারোপ খাজা আসিফের
এদিন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ আরও বলেন, “ইসলামাবাদ অনেকবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ভারতের কথিত জড়িত থাকার প্রমাণ দিয়েছে। সেই প্রমাণ একবার নয়, বহুবার দেওয়া হয়েছে। বার বার বলা হয়েছে ভারত বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।” শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন যে, “ আমাদের জাতীয় নীতি অ-যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করার অনুমতি দেয় না। তবে যদি সেনাবাহিনী বা পুলিশ ভারতের কোথাও তাদের অধিকারের জন্য দাবি করা মানুষের উপর অত্যাচার করেন অস্ত্র হাতে তুলে নেন, তবে পাকিস্তানকে দোষ দেওয়া সহজ।”
আরও পড়ুনঃ বালাকোট ২.০ এর প্রস্তুতি! দোভাল, জয়শঙ্করের সামনে কার সাথে কথা মোদীর? তুঙ্গে জল্পনা
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রায় ৮-১০ জন সন্ত্রাসবাদী জড়িত থাকতে পারে। তাদের মধ্যে ৫-৭ জন হতে পারে পাকিস্তানের। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি স্থানীয় যে কয়জন ছিল, তারা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রেখা পেরিয়ে হামলার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এবং হামলার পরে সেখানকার স্থানীয় কিছু মদতপুষ্ট যুবকদের সাহায্যেই হত্যালীলা চালানোর পরে জঙ্গিরা পাহাড়ের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এখনও সেনা বাহিনীরা তাঁদের খুঁজে চলেছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |