বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রতিবেশী মোহনবাগানের সাফল্যের মাঝে একের পর এক ব্যর্থতা নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। ISL-এ অসফলতার পর লক্ষ্য ছিল AFC চ্যালেঞ্জ লিগ, তবে সেই যাত্রায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তুর্কমেনিস্তানের দল আর্কাদাগ। বিদেশিদের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেষ চেনা সুপার কাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল মশাল ব্রিগেড। তবে সেই আশাতেও জল ঢেলেছে কেরালা ব্লাস্টার্স।
গত রবিবার কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রথম আসরেই পিভি বিষ্ণুদের একেবারে নাকের জলে চোখের জলে করেছে ভিন রাজ্যের দল। এমতাবস্থায়, লাল হলুদের দুর্ভোগ নিয়ে কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কোচ অস্কার ব্রুজো। সম্প্রতি দলের ছেলেদের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্র বলছে, দুর্দিন কাটাতে আগামী মরসুমের আগেই দলে বদল চাইছেন কোচ অস্কার। আর সেজন্যই, 4 বিদেশিকে ছেঁটে ফেলার পথে হেঁটেছে ইস্টবেঙ্গল। এহেন আবহে কানে আসছে বড় খবর। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই দুই তাবড় বিদেশিকে সই করাতে পারে লাল হলুদ। কারা তাঁরা?
4 বিদেশি ছাঁটাই করবে ইস্টবেঙ্গল?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইস্টবেঙ্গলের এ মরসুমের অন্যতম ভরসাযোগ্য 4 বিদেশি ফুটবলার অর্থাৎ সল ক্রেসপো, মেসি বাউলি, হেক্টর ইউস্তে ও রিচার্ড সেলিসকে বাদ দিতে পারে লাল হলুদ। সূত্র যা বলছে, আগামী দিনে ভুল ত্রুটি শুধরে সাফল্য গায়ে মাখতে চান কোচ অস্কার। আর সেই কারণকে সামনে রেখেই সুপার কাপে পরাস্ত হতেই, এই ৪ বিদেশির সাথে আগামী দিনে চুক্তি না বাড়ানোর পথেই হাঁটতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে জানা যাচ্ছে, দিয়ামান্তাকোস ও মাদি তালালদের এখনই বাদ দিতে পারছে না লাল হলুদ। কেননা, এই দুই তারকার সাথেই এখনও 2 বছরের চুক্তি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
অবশ্যই পড়ুন: হঠাৎ কেন এমন দুরবস্থা হল KKR-র? কারণ জানলে রাগ হবে
দুই বিদেশি ফুটবলারে নজর লাল হলুদের
একের পর এক ব্যর্থতার জেরে একেবারে নাক কাটা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তাই নতুন মরসুমে আর একই ভুল করে নিজেদের বিপদ বাড়াতে চাইবেন না অস্কার। ফলত, সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে দল গোছানো শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শোনা যাচ্ছে, 4 বিদেশি তারকাকে তাড়িয়ে খুব সম্ভবত শীঘ্রই দুই নতুন বিদেশি সই করাতে পারেন ব্রুজো। সম্প্রতি যে দুটো নাম সবচেয়ে বেশি ভেসে আসছে, তাঁরা হলেন চেন্নাইয়িন এফসির স্কটিশ ফুটবলার কোনর শিল্ডস ও ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রবিনহো। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই এই দুই ফুটবলারের সাথে কয়েক দফা কথা চালাচালি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের।