বিতানের বাবা-মাকে দেখতেন না সোহিনী? সদ্য স্বামীহারা সোহিনীকে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

Published on:

Pahalgam

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। প্রাণ গিয়েছে বাঙালি পর্যটকদের। এ পর্যন্ত যাঁদের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। যিনি ফ্লোরিডায় কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগেই দেশে ফিরে সপরিবারে কাশ্মীরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

একরাশ আনন্দ নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশে বেরোলেও শেষটা ছিল ভয়ংকর। মুহূর্তেই জঙ্গিদের হামলায় সব আনন্দ পরিণত হল মৃত্যুতে। গতকাল অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল স্বামীর নিথর দেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরলেন বিতানের স্ত্রী। কলকাতায় ফেরার পরে বিমানবন্দরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবে এবার সেই ঘটনা নিয়েও রাজনৈতিক বিতর্ক বাধল তৃণমূল বিজেপির মধ্যে।

জঙ্গি দমনের আশ্বাস শুভেন্দুর!

গতকালই জঙ্গি হামলায় নিহত দুই বাঙালি পর্যটক বেহালার সখের বাজারের সমীর গুহ এবং পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারীর মরদেহ কলকাতার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। আর ফেরার পরে বিমানবন্দরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিমানের স্ত্রী সোহিনী অধিকারী। সেখানে অপেক্ষা করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তমলুকের বিজেপি সাংসদ অগ্নিমিত্রা পালসহ আরও অনেকে। সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পাশে অপেক্ষা করে থাকে বিতানের সন্তানকে কোলে তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিতানের স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু বলেন, হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে! গাজা শেষ হয়েছে। ইজরায়েল শেষ করেছে। আমরাও শেষ করব। মোদীর শিষ্য আছি।”

বিতানের স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

এদিকে গোটা দেশ জুড়ে যেখানে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের হামলা নিয়ে বিক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হয়েছে সেখানে নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টুইট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। মৃতের স্ত্রীর দাবি, তাঁর কপালে সিঁদুর দেখে খুন করা হয়েছে বিতানকে। তাই এবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কুণাল এর অভিযোগ সোহিনী নাকি বিতানের মা-বাবাকে একদমই দেখেন না। তাই ক্ষতিপূরণ সেক্ষেত্রে যাতে সম্পূর্ণ সোহিনী না পায় তার আবেদন এবার কুণালের।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, “প্রথমে টিভিতে বাইট: হিন্দু মুসলমান বেছে মারেনি। পরে বিজেপি নেতাদের সামনে: হিন্দু বলে মেরেছে। মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের প্রশাসনের অন্তত কুড়িটি ফোন। ফেরার সব সাহায্য। ফিরে বিজেপির সামনে: আপনাদের ভরসায় ফিরেছি। মৃতের বাবা মা অসহায়। ছেলে নেই। পুত্রবধূ তাঁদের কাছে থাকতেন না, দেখতেন বলে খবর নেই। কলকাতাতেই অন্যত্র থাকতেন। বাবা মা অনিশ্চয়তায়।।”

আরও পড়ুনঃ দুই জঙ্গিকে ধরেও ফেলেছিলেন বিনয়, কীভাবে মৃত্যু হল নেভি অফিসারের? প্রকাশ্যে এল সত্য

ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিয়ে মতামত কুণালের

এছাড়াও এদিন টুইটে কুণাল ঘোষ আরও লেখেন যে, “এখন শোকের বাতাবরণ। তাই অপ্রিয় প্রশ্ন তুলছি না। বাড়াবাড়ি রাজনৈতিক দ্বিচারিতার নাটক, শেখানো সংলাপে বিষ ছড়ানো দেখলে বলবই। যিনি যা মনে করেন, করবেন। আপাতত একটা জরুরি বাস্তব কথা। প্রয়াত বিতান অধিকারীর পরিবারের জন্য দুই সরকার যদি কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন, তা যেন শুধু পুরোটা স্ত্রীকে দেওয়া না হয়। বিতানের বৃদ্ধ বাবা মায়েরও সাহায্য দরকার। ওঁদের পরিবারের যা সমীকরণ, তাতে এই দুজন ঘোরতর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।”

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

সঙ্গে থাকুন ➥