সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কাশ্মীর উপত্যকায় ফের আবার উত্তেজনা। হ্যাঁ, ভয়াবহ পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) রেশ এখনও কাটেনি কাশ্মীরে। এখন চলছে তল্লাশি। সুত্রের খবর, বান্দিপোরার গভীর জঙ্গলে সেনা এবং জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে এক কুখ্যাত জঙ্গি। হ্যাঁ একদম ঠিকই পড়েছেন। তবে সূত্র বলছে এর সঙ্গে আহত হয়েছে দুই ভারতীয় জওয়ান।
তল্লাশির মাঝেই গুলি বৃষ্টি…
গত মঙ্গলবার, পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই ভারতীয় সেনারা বড়সড় অভিযান শুরু করেছে। এক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরা জঙ্গলে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অভিযোগ উঠেছিল, এখানে নাকি লুকিয়ে ছিল একাধিক জঙ্গি। অভিযানে প্রথমে গুলির লড়াই হয়। দীর্ঘক্ষন ধরে গুলির লড়াইতে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় কুখ্যাত জঙ্গি আলতাফ লাল্লির। সূত্রের খবর, সে ছিল পহেলগাঁও হামলার অন্যতম অভিযুক্ত।
অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে আরও দুই জঙ্গি!
যদিও সেনাদের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বেশ কিছু সূত্র দাবি করছে, এই অভিযানে আরও দুজন জঙ্গিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সেনারা দাবি করছে, তারা গত কয়েকদিন ধরে উপত্যকায় টার্গেট করে ছিল এবং আরও হামলার ফন্দি এঁটে বসেছিল।
পুলওয়ামায় জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ
এদিকে শুক্রবার সকালে আরও এক বিস্ফোরণের খবর সামনে আসে। পুলওয়ামায় অবন্তীপোরায় জঙ্গি আসিফ শেখের বাড়িতে নাকি মজুদ ছিল বিস্ফোরক। আর নিরাপত্তা বাহিনী কাছাকাছি আসতেই বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে যায় ওই বাড়ি। আর একই সূত্র ধরে অভিযুক্ত আদিল গুরির বাড়িতেও সেনারা অভিযান চালিয়ে তা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এখন জঙ্গিদের সেফ জোন পহেলগাঁও?
সুত্রের খবর, পহেলগাঁও অঞ্চলের ভৌগোলিক গঠন জঙ্গিদের এখন আশ্রয়ের পক্ষে উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। শীতকালে ১০ ফুট পর্যন্ত বরফ জমে এখানে। পাশাপাশি পড়ে জাঁকিয়ে ঠান্ডা। আর এই ঘন জঙ্গলে সাধারণ মানুষের বসবাস কল্পনার বাইরে। আর ঠিক এই কারণেই প্রতি বছর জঙ্গিরা শীতে এখানে ওত পেতে আশ্রয় নেয়। আর পহেলগাঁও থেকে ত্রাল পর্যন্ত বিস্তৃত বনাঞ্চল হয়ে ওঠে তাদের গোপন ঘাঁটি।
আরও পড়ুনঃ ভয়ানক বিস্ফোরণ, কাশ্মীরে উড়ল পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত দুই জঙ্গির বাড়ি
২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা
সুত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে তাকে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যৌথভাবে জঙ্গিদের তদন্ত চালাচ্ছে। আর সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলেও বাড়ানো হয়েছে কড়া নজরদারি। তবে সেনারা জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের জমিতে জঙ্গিদের রাজত্ব তারা আর মেনে নেবে না। এখন দেখার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।