বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে 26 জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর বদলা কঠোর হাতে নিয়েছে ভারত(India)। মঙ্গলবার কাশ্মীরের মাটিতে পাক জঙ্গিদের এমন কুকর্মের খবর পেতেই সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরতেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, 3 সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাথে দীর্ঘ বৈঠকের পর পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে মোদি সরকার।
সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বাতিল থেকে শুরু করে দিল্লিতে পাকিস্থানি দূতাবাস বন্ধ, পাক নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে পাক সরকারকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি। সেই সাথেই স্থলবন্দর আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দুই দেশের বাণিজ্য স্থগিত করেছে কেন্দ্র। আর এই পদক্ষেপের পরই প্রশ্ন উঠছে, বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে আদতে ক্ষতি হবে কার? হিসেবটা বুজে নিন সরল অঙ্কে।
বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় ক্ষতি হবে পাকিস্তানেরই
সন্ত্রাসবাদি হামলার জবাব হিসেবে পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের তরফেও প্রতিবেশীর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জোর ঘোষণা এসেছে। দুই দেশের বাণিজ্যে দীর্ঘ ফাটল তৈরি হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে বলে রাখি, পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় খুব একটা ক্ষতি হবে না ভারতের।
কারণ, ভারতে রফতানিকারকদের সংগঠন ফিয়ো জানাচ্ছে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভাঙায় রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতে এর প্রভাব অতি সামান্য। বরং দুই দেশের বাণিজ্য শেষ হওয়ায় সমস্যা বাড়তে পারে পাকিস্তানের। কেননা, ভারত থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া পণ্য এবার অতিরিক্ত দাম দিয়ে অন্য দেশের কাছ থেকে কিনতে হবে তাদের।
ভারতের সাথে পাকিস্তানের বাণিজ্য একেবারে নামমাত্র
2019 সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সাথে ভারতীয় বাণিজ্যে বড়সড় ফাটল তৈরি হয়েছিল। আর এরপর থেকেই ক্রমশ দুই দেশের বাণিজ্য কমেছে। ভারতে রপ্তানিকারীদের সংস্থা ফিয়ো দাবি করছে, বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারতের পছন্দের তালিকা থেকে অনেক আগেই বাদ পড়েছে পাকিস্তান। এ প্রসঙ্গে ফিয়োর ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় জানান, দিল্লির সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের মাত্রা অনেকটাই কম ইসলামাবাদের।
পরিমাণটা খুব বেশি হলে 0.06 শতাংশ। ফলত, বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় খুব একটা ক্ষতি হবে না ভারতের। কেননা, পাকিস্তান থেকে সরাসরি কোনও পণ্য এদেশে আসে না। বরং দুবাই থেকে ঘুর পথে ভারতে ঢোকে পাকিস্তানি পণ্য। ফিয়োর ওই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতে রপ্তানিকারকরা খুব সহজেই পাকিস্তানের বিকল্প খুঁজে নেবে।
অবশ্যই পড়ুন: দুঃখের দিন শেষ! ম্যাচ হেরেও এই নিয়মে প্লে অফে উঠে যাবে KKR
ভারত থেকে কী কী আমদানি করত পাকিস্তান?
প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে সন্ত্রাসী হামলার ছক ও অন্যান্য কুচুটে বুদ্ধিকারী পাকিস্তান ভারত থেকে অসংখ্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করত। অনেকেই হয়তো জানেন না, ভারত থেকে সে দেশে রপ্তানি হতো সয়াবিন, মুরগির খাবার, সবজি, প্লাস্টিকের নানান দ্রব্য, মশলা, বিভিন্ন দামি প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিনি, নুন, ইস্পাত, কফি, গাড়ির একাধিক পার্টস সহ অন্যান্য বহু প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |