প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় যেখানে গোটা দেশে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এদিকে চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এবার ভোটের ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে এবার দেশদুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা হল কেন্দ্র। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের!
আজ অর্থাৎ বুধবার জাতগণনা (Caste Census) নিয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘক্ষণ চলে সেই বৈঠক। তারপরেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মন্ত্রিসভার বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তা নিয়ে সরাসরি সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হন। আর সেখানেই জনগণনায় জাতিগণনাকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী জনগণনার অংশ করা হবে জাতিগণনাকে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “কংগ্রেস সরকার সবসময়ই জাতিগণনার বিরোধিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কোনও জনগণনায় জাতিগণনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ”
নীতিশ কুমারকে হাতে রাখতে বড় চাল মোদীর
এদিকে ২০১০ সালে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং লোকসভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন যে জাতিগণনা নিয়ে মন্ত্রিসভা বিবেচনা করবে। এবং এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য মন্ত্রী সদস্যদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। সেই আলোচনায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল জাতিগণনার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৎকালীন কংগ্রেস সরকার কেবল জাতসমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই এবার সেই সিদ্ধান্তে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে মোদি সরকার। তবে অনেকেই মনে করছে যে নীতিশ কুমারকে হাতে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
আসলে রাজনৈতীক বিশ্লেষকরা মনে করছে যেহেতু জাত গণনা সমীক্ষা বিহারে করা হয়ে থাকে এবং যেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারও জাতগণনার দাবিতে সরব ছিলেন। তাই সেই ব্যাপারে উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সমাজ ও দেশবাসীর মূল্যবোধ এবং স্বার্থের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। অতীতের মতো, যখন সরকার সমাজের কোনও অংশকে কষ্ট না দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য ১০% সংরক্ষণ চালু করেছিল, এই সিদ্ধান্তও একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির প্রতিফলন।”
আরও পড়ুনঃ ফের এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন আম্বানি, আদানির অবস্থা কেমন? দেখুন তালিকা
এদিকে ২০২১ সালেই জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় কোভিড মহামারির জন্য জনগণনা পিছিয়ে গিয়েছিল। তা নিয়ে মোদি সরকারকে বেশ আক্রমণ করেছিল রাহুল গান্ধী। এমনকি বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্যোগে করা জাতসমীক্ষা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া কিছু নয় বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে আগামী বছর জনগণনার কাজ শুরু হতে পারে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |