বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের (India) ভূস্বর্গ কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে অমুসলিম পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করেছে পাক জঙ্গিরা। যেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা মতোই হয়েছে কাজ। পাকিস্তানের সাথে একাধিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি জঙ্গিদের বাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
এমতাবস্থায়, পহেলগাঁওয়ে বর্বর হামলার ঘটনায় ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। বিশেষত মুসলিম দেশগুলি এই নক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে! আর এই ঘটনার পরই কার্যত কোণঠাসা হওয়ার জোগাড় পাকিস্তান।
ভারতকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে সৌদি আরবের মতো দেশ
26 জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই ভারতের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সকলেই। বার্তা এসেছে ব্রিটেন থেকেও। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার ঘটনায় একযোগে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলি।
মূলত সৌদি আরব ভারতকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সৌদি ছাড়াও কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ গুলির পক্ষ থেকেও ভারতে এসেছে সমবেদনা বার্তা। সেই সাথেই ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে বড়সড় সমর্থন জানিয়েছে মুসলিম দেশগুলি। আর এই ঘটনার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের!
পাকিস্তানের প্রতি ভরসা নেই মুসলিম দেশগুলির!
বলা বাহুল্য, ঠান্ডা যুদ্ধে চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান এবং সৌদি আরব আমেরিকান শিবিরে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ভারত সেই সময়ে জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করেছিল। যদিও জোটে না গিয়েও রাশিয়ার সাথে সখ্যতা বজায় রেখেছিল ভারত। অনেকেই হয়তো জানেন না, সেই সময়ে পাকিস্তানের সাথে সবচেয়ে গভীর সখ্যতা ছিল সৌদি আরবের।
প্রকাশ্যে দুই দেশই একে অপরকে সমর্থন জানিয়েছে বহুবার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদির সাথে সম্পর্ক গভীর হয়েছে ভারতের। শেষবারের মতো সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর এই সময়কালেই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল সৌদি আরব। সৌদির পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম দেশ যেমন কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অ-হিন্দু রাষ্ট্রগুলি ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। আর এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পাকিস্তানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলি?
কীভাবে ভারতের সাথে উপসাগরীয় দেশ গুলির সখ্যতা বাড়ল?
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট মারফত যা খবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমল থেকেই উপসাগরীয় দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হতে শুরু করেছিল। তবে দেশের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে যেতেই, তিনি ঘন ঘন বিদেশ সফর করতে শুরু করেন। উপসাগরীয় দেশগুলিতে গিয়ে জ্বালানি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দেশগুলির সাথে ভারতের বন্ধুত্ব দৃঢ় করেন তিনি। আর সেই পথ ধরেই আজকের দিনে উপসাগরীয় দেশ গুলি বুঝতে পেরেছে, বিনিয়োগের জন্য ভারত কতটা নিরাপদ ক্ষেত্র।
অবশ্যই পড়ুন: গাড়িতে ডাস্টবিন না থাকলেই ১০ হাজার টাকার চালান! জারি নয়া নিয়ম
যুদ্ধ হলে আদৌ ভারতের পক্ষ নেবে মুসলিম দেশগুলি?
চারিদিকে যা আবহাওয়া তাতে গোপনে যুদ্ধ ঘোষণা হওয়াটা খুব একটা বড়সড় বিষয় নয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, ওদিকে চিন পেছন থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করে গেলেও ভারতের সমর্থনে কি আদৌ সৌদি আরবের মতো দেশগুলি দাঁড়াবে? বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, সৌদি আরবের প্রকাশ্য সমর্থনের পর বহু বিশেষজ্ঞই আশা করছেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যুদ্ধ জিগির বাস্তব রূপ নিলে সৌদি আরবের মতো বেশ কিছু মুসলিম দেশের পরোক্ষ সমর্থন পেতে পারে ভারত। যদিও সেই পথ কতটা মসৃণ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে নানা মহলে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |