প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন ধরে যেখানে শুধুমাত্র জনগণনা করা হয়, এখন থেকে সেই সমীক্ষায় আরও এক গণনা অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। আর সেটি হল জাতিগত গণনা। গতকাল অর্থাৎ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি বা সিসিপিএ-র বৈঠকে এই বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চলে। এরপর বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে আসন্ন জনগণনায় এবার জাতিভিত্তিক গণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিহারে জাতিভিত্তিক গণনা
এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জাতিভিত্তিক জনসুমারির (Caste Census) দাবি জানাচ্ছিল। এমনকি এই জাতিভিত্তিক জনসুমারি ২০২৩ সালে প্রথম চালু করে বিহার। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ জনজাতি ও ১.৭ শতাংশ উপজাতির নাগরিক। তাই এবার এই নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। এখন প্রশ্ন হল কবে থেকে শুরু হচ্ছে জাতিভিত্তিক জনগণনা? আর এই অতিরিক্ত গণনার জন্যই বা কত খরচ পোহাতে হবে তাই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কবে থেকে শুরু হবে জাতিভিত্তিক জনগণনা?
গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও এখনও জনসুমারি বা জনগণনা নিয়ে কোনও দিনক্ষণ বা ডেডলাইন ঘোষণা করেনি। তবে যেহেতু ২০২১ সাল থেকে জনসুমারি বাকি রয়েছে তাই এই গণনাতে আর কোনো ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “জনসুমারিতে জাতিভিত্তিক গণনা যোগ করা হবে কি না, তা নিয়েই এতদিন সংশয় ছিল। এবার শীঘ্রই জনগণনা শুরু হতে পারে।” এদিকে ২০১১ সালে জাতিগত জনগণনার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক এবং জাতিভিত্তিক জনগণনা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফলাফল প্রকাশ করতে অস্বীকার করে।
এরপর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোভিড মহামারির সময় থেকেই সেটি স্থগিত হয়ে যায়। অন্যদিকে ২০১০ সালে, সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতিগত জনগণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা উচিত। এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সুপারিশ দিলেও কংগ্রেস সরকার চালু করেনি। তবে এবার মোদি সরকার জানিয়েছে যে, ২০২৫-২৬ নাগাদ হয়তো জাতীয় জনগণনা শুরু হবে।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ হবে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া? রাজ্যগুলিকে চরম ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
খরচ কত পড়বে?
এদিকে ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে ২০২১ সালে জনসুমারির জন্য ৮৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার আপডেট করার জন্য আরও ৩৯৪১.৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ সালে জনসুমারির জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ ছিল ১৩০৯ কোটি টাকা। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৫৭৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। তবে জনগণনা শুরু হলে প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত তহবিল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |