বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আবর্জনা ও বিদ্যুৎ এই দুই নিয়েই পদ্মা পাড়ের বাংলাদেশের (Bangladesh) যত সমস্যা! তবে এবার ওপার বাংলার জোড়া সমস্যা গোড়া থেকে নির্মূল করতে চাইছে চিন। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা আবর্জনা বিশেষত ভাগাড়ের ময়লা গুলিকে কাজে লাগাতে চাইছে ড্রাগনের দেশ।
সূত্রের খবর, এই বর্জ্যপদার্থ গুলি দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় জিনপিংয়ের সরকার। মনে করা হচ্ছে, চিন যদি এই কাজে একবার সফল হয়, তবে বাংলাদেশের বিদ্যুতের ঘাটতি পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যাবে! যদিও সেই কাজটা যে খুব একটা সহজ হবে না তা ভালভাবেই জানে প্রযুক্তিতে কয়েকশো মাইল এগিয়ে থাকা চায়না।
আবর্জনা নিয়ে চরম ভোগান্তি বাংলাদেশবাসীর
ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চল পাশাপাশি শহরের ভাগাড়গুলিতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত ভাগাড়ের ময়লা পচা দুর্গন্ধ ও আবর্জনা থেকে ছড়ানো রোগের ভয়ে একপ্রকার গুটিয়ে রয়েছে ওপার বাংলার জনগণ! দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে অবশেষে দাদা চিনের হাত ধরে আবর্জনা জনিত সমস্যা গোড়া থেকে নির্মূল করার স্বপ্ন দেখছে ইউনূসের সরকার।
বর্জ্য দিয়েই তৈরি হবে বিদ্যুৎ
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সমস্যা নির্মূল করতে বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সে দেশে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। গত বুধবার, ওপার বাংলার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতে চিনের আগ্রহের কথা নিশ্চিত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়াও ওয়েন।
চিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন যা জানাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্জ্য পদার্থ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টিতে চিনকে পূর্ণ সমর্থন করতে চায় ওপার বাংলার সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উপদেষ্টা মাহমুদ জানিয়েছেন, চিনের সহযোগিতায় দেশের সব সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টিতে বাংলাদেশ আগ্রহী। অন্যদিকে ওপার বাংলায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই প্রকল্প হাতে নেবে চিন সরকার।
অবশ্যই পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে ছেঁটে ফেলা হবে পাকিস্তানকে? সুনীল গাভাস্কার বললেন ‘৩ দেশের হবে …’
প্রসঙ্গত, এতদিন বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো গুরুত্বপূর্ণ ফলগুলি পণ্য হিসেবে আমদানি করতো চিন। যেই খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে এবার সেই সব পণ্যের পাশাপাশি পদ্মা পাড়ের দেশ থেকে আবর্জনা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ড্রাগনের দেশ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |