প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত মাসে ওয়াকফ আইন বাতিলের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাতারাতি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ভিটে ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে এইমুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি। আর এই আবহে আজ অর্থাৎ সোমবার মুর্শিদাবাদ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছেই সুতি, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখবেন তিনি।
মমতার সফরের আগেই বহরমপুরে গুলির লড়াই
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে কথা বলবেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই সঙ্গে আহত পরিবারদের তুলে দেবেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ। শুধু তাই নয় সেখানকার জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হাতে মুখ্যমন্ত্রী সুবিধা তুলে দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এই দিনভর প্রশাসনিক কর্মসূচির মাঝে ঘটে গেল এক মহা বিপদ। বহরমপুরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই নাকি এমন পরিস্থিতি।
ঘটনাটি কী?
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে বহরমপুরের মধুপুর এলাকার একটি ক্লাবে স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ফেলে কয়েকজন দুষ্কৃতী। প্রথমে বচসা হয় তাঁদের মধ্যে। আর সেই সময় চেয়ার, পিস্তলে বাট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর চলে দুই পক্ষের মধ্যে। শূন্যে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। গুরুতর জখম হন তৃণমূল নেতা মিঠু জৈন, দেবজ্যোতি রায়-সহ তিনজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তদন্তে বহরমপুর থানার পুলিশ
জানা গিয়েছে যে সকল দুষ্কৃতীরা মারধর করছিল তাঁরাও নাকি তৃণমূলেরই লোক। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মিঠু জৈন ১৬ নং ওয়ার্ডের যুব সভাপতি সুমন চৌধুরিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, “এরা তৃণমূলটাকে শেষ করে দিল। আমি সক্রিয় কর্মী। আমি তৃণমূল করি, ওরাও করে। কিন্তু এমন তৃণমূল কখনও করিনি। আমরা তিনজন গুরুতর জখম। গুলির খোলগুলো থানায় জমা দিয়েছি। কী কারণে এমন করল, বুঝতে পারছি না।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।
আরও পড়ুনঃ টানা দরপতনের পর সোনার দামে চমক, রুপো শোনাচ্ছে সুখবর! আজকের রেট
এদিকে হামলার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর নেতা তথা বহরমপুর টাউন তৃণমূল যুব সভাপতি পাপাই ঘোষ। তাঁর কথায়, মিঠু জৈন লেঠেল বাহিনী নিয়ে চড়াও হয়েছেন। আগে তৃণমূলের পদে ছিলেন এখন সমাজ বিরোধী। ওই ক্লাবে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ চলে। দোষীরা যেন শাস্তি পায়।” তাঁর মুখে এও শোনা গিয়েছিল যে মিঠু জৈন নাকি একসময় তৃণমূল করতেন। কিন্তু এখন বিজেপির হয়ে কাজ করেন। তাই এর পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে। এদিকে ওই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে বিজেপি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |