সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি ভারত সরকার নিয়ন্ত্রিত জন্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় 26 জন নিরীহ ভারতীয় পর্যটক প্রাণ হারান। পাকিস্তানি মদদপুষ্ট জঙ্গিদের হামলাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আর এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) বন্ধ করে দেওয়ার। জানা যাচ্ছে, এবার চেনাব নদীর উপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে জলপ্রবাহ সম্পূর্ণভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে।
কিষাণগঙ্গা বাঁধ নিয়ে বিরাট পদক্ষেপ
সূত্রের খবর, এবার একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে কিষাণগঙ্গা বাঁধের ক্ষেত্রে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। জানা যাচ্ছে, এটি কাশ্মীরের উত্তরে ঝিলাম নদীর উপরে অবস্থিত। এক সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বাগলিহার এবং কিষাণগঙ্গা, এই দুই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতকে জল ছাড়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়। এমনকি কিছু কৌশলগত কারণে জলপ্রবাহ আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্তও ভারত সরকারের হাতে থাকে।
সিন্ধু জলচুক্তির প্রেক্ষাপট | Indus Water Treaty |
বেশ কিছু সূত্র খতিয়ে জানা গেলে, 1960 সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের দ্বারা স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি ভারতের সিন্ধু নদী এবং তার উপনদীগুলি ব্যবহার করে নেওয়া হয়েছিল। আর এই চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণতা বজায় রেখেছিল।
তবে সময়ের সাথে সাথে সেই চুক্তি যেন বিভিন্ন বিতর্কের সূত্রপাত ঘটাতে লাগলো। বাগলিহার বাঁধ বরাবরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রধান উৎস। এমনকি সন্ত্রাসের দেশ এই বাঁধ নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের শরণাপন্ন হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ টানা দরপতনের পর সোনার দামে চমক, রুপো শোনাচ্ছে সুখবর! আজকের রেট
শুধু তাই নয়, অন্যদিকে কিষাণগঙ্গা প্রকল্প বহুবার আন্তর্জাতিক আইন এবং কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়েছিল, বিশেষ করে ঝিলাম নদীর উপনদী নিলাম নদীর উপর এই প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে। এমনকি ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে এই প্রকল্প যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসবে না, তা কেউ কল্পনাও করেনি। এখন দেখার, বর্তমান পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয় এবং দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |