বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান (Pakistan) উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের নক্কারজনক কান্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাউকে রেয়াদ করা হবে না। সেই মতো, পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একাধিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। ও দেশের তরফেও ভারতে পাল্টা জবাব এসেছে, সব মিলিয়ে একেবারে ঘাত-প্রতিঘাতের আবহে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে বাংলাদেশ।
ভারতের বিরুদ্ধে সুর উঁচিয়ে চলা ওপার বাংলার সরকার, প্রতিমুহূর্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নাক গলাতে চাইছে। সূত্রের খবর, পাক বিদেশ মন্ত্রী ইশাক দার নাকি সম্প্রতি বাংলাদেশে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে সেই কথা না রাখায় ইতিমধ্যেই ওপার বাংলার বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাথে ফোনালাপ সেরেছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী। আর সেখানেই নাকি, ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শনিয়েছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশও।
ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পাক-বিদেশমন্ত্রী
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন পাক বিদেশ মন্ত্রী ইশাক। আর সেই ফোনালাপে নাকি পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী তৌহিদের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। জানা যায়, ওপারে বাংলার উপদেষ্টা তৌহিদও নাকি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথেই, দুই পক্ষকেই এই পরিস্থিতিতে সংযত থাকার কথা বলেছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। তবে ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিরুদ্ধে বিদেশ উপদেষ্টার কাছে নাকি একাধিক অভিযোগ রেখেছিলেন পাক বিদেশ মন্ত্রী।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তৌহিদ
বিগত বছরগুলিতে পাকিস্তানের মদদে একের পর এক জঙ্গি হামলায় একেবারে হাপিয়ে উঠেছে ভারত! প্রধানমন্ত্রীর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এবার আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমতাবস্থায়, ইসলামাবাদের সাথে দিল্লির সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, আর এমন আবহেই দুই দেশের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা।
সম্প্রতি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরে, বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের আবহে মধ্যস্থতা করতে চায় না! তিনি বলেন, আমার মনে হয় না আমাদের এ বিষয়ে নাক গলানো উচিত না। আগ বাড়িয়ে কিছুই করতে চায়না বাংলাদেশ। এদিন তৌহিদ আরও জানান, আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। আমরা মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি চাই। বাংলাদেশ চায়না এখানে কোনও রকম বড়সড় সংঘাদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। এতে বহু মানুষের ক্ষতি হবে।
অবশ্যই পড়ুন: বাঁচতে চাইলে দিতে হবে ১ কোটি টাকা! খুনের হুমকি পেলেন মহম্মদ শামি
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার উপদেশ
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা বলেছিলেন, আমি মনে করি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জিইয়ে থাকা তিক্ততা মিটিয়ে নেওয়া হোক। এই পরিস্থিতি টিকে থাকলে আগামী দিনে ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশ যদিও এসব বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না। তবে আমি মনে করি, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে গোটা বিষয়টা মিটমাট করে নিক।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |