সৌভিক মুখার্জি, কলকাতা: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) এবার বিরাট ধাক্কা দিয়েছে পাকিস্তানকে। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিকে কার্যত গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনাদের তরফ থেকে। এমনকি নিকেশ করা হয়েছে প্রায় শতাধিক জঙ্গিকে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পুরো পরিবারও এই অভিযানে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আর এহেন পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে পাকিস্তান এখন তাঁদের জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। এমনকি এই সুযোগে ভারতের বিরুদ্ধে আবারও হুমকির হুঁশিয়ারি ছাড়ছে আল-কায়েদা।
ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি?
সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে আল-কায়েদা জানিয়েছে, ‘ভারতের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মূলত মুসলিমদের উপর সরাসরি আঘাত। 2025 সালের 6 মে ভারতের বিজেপি সরকার পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর এই হামলায় মসজিদ ও মুসলিম বসতিগুলিকে মূলত নিশানা করা হয়। বহু মুসলিম শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন।’
এমনকি এই বক্তব্যে পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গেকেও টেনে আনা হয়েছে। সেখানে তারা দাবি করেছে, ভারতের ইসলামবিরোধী মনোভাব নতুন কিছু নয়। আগেও ছিল, এখনো আছে, আর ভবিষ্যতেও থাকবে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলার আশঙ্কা
এদিকে ভারতের এক গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, পাকিস্তানের পোষা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি এবার একে একে ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি ছাড়বে। শুধু হুমকি নয়, বরং তারা বড়সড় হামলার পরিকল্পনাও করতে পারে। তাই তাঁদের উপর কড়া নজর রাখছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
গোয়েন্দারা আরও বলছেন যে, এই সমস্ত সংগঠন এখন সাইবার ময়দান থেকে মাঠে নেমে সরাসরি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। এমনকি তারা সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে ভারতের উপর। কিন্তু কোনও ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার ঠিক যোগ্য জবাব দেবে ভারত।
আরও পড়ুনঃ ভারত, পাকিস্তানের উত্তেজনায় বিরাট আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের! বড় ধস শেয়ার বাজারে
এদিকে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরাসরি সামরিকভাবে জবাব দিতে না পারলেও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় করে আবারও তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠছে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরেও নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়।