প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসের শিকড়ে আঘাত হেনে পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিল ভারত। জঙ্গিদের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে ক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেয়। মাত্র ২৫ মিনিটে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্মার্ট বোমার সহযোগে অভিযান সফলতা অর্জন করে। আর তাতেই আঁতে ঘা লাগে পাকিস্তানের। লস্কর-জইশ-হিজবুলের জঙ্গিদের আঁতুরঘর ধ্বংস হওয়া মন থেকে মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান!
টার্গেটে ছিল একাধিক জঙ্গি সংগঠন
আর সেই কারণেই এবার পাক সেনারাও ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য নেমে পরে ময়দানে। একের পর এক গোলাবর্ষণ শুরু হয়। যদিও ভারত চুপ করে বসে থাকেনি। তাঁরাও পাল্টা প্রত্যাঘাত হানে। এদিকে অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতীয় সেনা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তর বেশ কিছু জঙ্গিঘাঁটিগুলি শনাক্ত করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সাওয়াই নালা, সৈয়দ না বিলাল, মসকর-ই-আকসা, চেলাবন্দি, আবদুল্লা বিন মাসুদ, দুলাই, গরহি হাবিবুল্লা, বতরসি, বালাকোট, ওঘি, বোই, সেনসা, গুলপুর, কোটলি, বরালি, দুংগি, বরনালা, মেহমুনা জোয়া, সরজল, মুরিদকে এবং বাহওয়ালপুর।
অন্যদিকে এই অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যেসকল জঙ্গিরা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল কুখ্যাত ও অত্যন্ত প্রভাবশালী জঙ্গি। আর সেই পাঁচজন জঙ্গি হল মুদাসসির খাদিয়ান খাস ওরফে আবু জুন্দাল, হাফিজ মুহাম্মদ জামিল, মহম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদজি অথবা মোহাম্মদ সলিম অথবা ঘোসি সাহেব, খালিদ ওরফে আবু আকাশা এবং মহম্মদ হাসান খান। একনজরে জেনে নেওয়া যাক এই কুখ্যাত জঙ্গিদের সম্পর্কে।
হাফিজ মুহাম্মদ জামিল
জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের জ্যেষ্ঠ ভগ্নিপতি হলেন হাফিজ মুহাম্মদ জামিল। তাঁর যোগসূত্র হল জইশ-ই-মহম্মদ।
বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত ‘মারকাজ সুবহান আল্লাহ’র প্রধান ছিলেন তিনি। দলে তাঁর কাজ ছিল যুব সমাজকে চরমপন্থী মতাদর্শে প্রভাবিত করা এবং তহবিল সংগ্রহের নজর রাখা।
আবু আকাশা
আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচার করে জঙ্গিদের মধ্যে অস্ত্র বিলানোর কাজ করতেন খালিদ ওরফে আবু আকাশা। এর যোগসূত্র ছিল লস্কর-ই-তৈবা। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। অভিযানে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ফয়সালাবাদে কবর দেওয়া হয়, যেখানে সিনিয়র পাক সেনা কর্মকর্তা ও ফয়সালাবাদের ডেপুটি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
মুদাসসির খাদিয়ান খাস
মুরিদকের জঙ্গি শিবির ‘মারকাজ তাইবা’র প্রধান দায়িত্বে ছিলেন মুদাসসির খাদিয়ান খাস ওরফে আবু জুন্দাল। ভারতের অভিযানে তাঁর মৃত্যুর পর পাক সেনাপ্রধান ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্যও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তরফ থেকে তাকে গার্ড অফ অনার ও দেওয়া হয়।
মহম্মদ ইউসুফ আজহার
মৌলানা মাসুদ আজহারের ভগ্নিপতি হলেন মহম্মদ ইউসুফ আজহার। তাঁর অসংখ্য ছদ্মনাম ছিল। কখনও তিনি উস্তাদজি, কখনও তিনি মোহাম্মদ সলিম তো আবার কখনও ঘোসি সাহেব। তাঁর কাজ ছিল জইশের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির পরিচালনা করা। আইস-৮১৪ বিমান ছিনতাই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পলাতক অপরাধী।
মহম্মদ হাসান খান
জইশ-ই-মহম্মদ এর অন্যতম জঙ্গি ছিলেন মহম্মদ হাসান খান। তিনি এর আগে জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক হামলার পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তাঁর বাবা মুফতি আসগর খান কাশ্মীরি, যিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ বিরাট সাফল্য! পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে ৮টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |