‘ফায়ার নয়, ফ্লাওয়ার’, ফাটলই না চিনা ক্ষেপণাস্ত্র! ভারতের ঢুকতেই ল্যাজেগোবরে ড্রাগনের গর্ব

Published on:

china pl 15 e

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সাথে সংঘর্ষের মাঝে দাদা চিনের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান (Pakistan), তবে সেইসব মিসাইল ও যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা বুঝিয়ে দিয়েছে, ড্রাগনের দেশের কোনও কিছুই অভেদ্য নয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

তবে ভারতের ক্ষমতা প্রদর্শনের মাঝে পাকিস্তানকে দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে একেবারে লজ্জায় নাক কাটা গিয়েছে চিনের! বারংবার প্রশ্ন উঠছে, রাডার থেকে শুরু করে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, ভারতের সাথে সংঘাতে চিনা অস্ত্রগুলি কেন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করল পাকিস্তানে?

ভারতের সামনে মাথা নুইয়েছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

গত 7 মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবল মিসাইল বর্ষণ করে ভারতীয় বায়ু সেনা। আর এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। প্রিয়জন হারানো নারীদের সিঁদুরের দাম বোঝাতেই পাকিস্তানের বুকে কড়া আঘাত হানে দিল্লি! গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পাক জঙ্গিঘাঁটি। মৃত্যু হয় 100-রও বেশি সন্ত্রাসীর। এমতাবস্থায়, ভারতীয় বিমান বাহিনীকে প্রতিহত করতে চিনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, জিনপিংয়ের সেই ক্ষেপণাস্ত্র কোনও ক্ষেত্রেই কাজে আসেনি। জানা যায়, পাকিস্তানের তরফে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে চিনের PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয়, সেই মিসাইল কোনও বিস্ফোরণই ঘটাতে পারেনি। বরং একেবারে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এসে পড়ে।

পরবর্তীতে অক্ষত অবস্থায় এলাকাবাসীরাই সেটিকে উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। এছাড়াও, মধ্যরাতে ভারতীয় যুদ্ধ বিমানগুলি পাকিস্তানের মাটিতে তাণ্ডব চালিয়ে এলেও, এক মুহূর্তের জন্যও সেই হামলার আভাস পায়নি চিনা রাডার। আর এরপরই চিনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

PL-15

চিনের PL-15 সম্পর্কে জানুন

চিন পাকিস্তানকে যে উচ্চ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র PL-15 দিয়েছিল, তা পাক সেনাবাহিনীতে থান্ডারবোল্ট-15 নামে পরিচিত। এটি মূলত ডগফাইটের সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৃষ্টিশক্তির বাইরে গিয়ে শত্রু শিবিরে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের। অর্থাৎ আকাশ থেকে আকাশ বা এয়ার টু এয়ার মিসাইল যা চায়না অ্যারোস্পেস সাইন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের হাতে তৈরি।

এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা তৈরি করেছে চিনের 607 ইনস্টিটিউট। জানিয়ে রাখি, চিনের এই ক্ষমতাশালী ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ ম্যাক 5 অর্থাৎ শব্দের পাঁচ গুণ। একই সাথে এতে রয়েছে ডুয়েল পালস সলিড প্রোপেল্যান্ট মোটর। এই মোটর দিয়েই যুদ্ধ চলাকালীন ঝড় তুলতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। জানা যাচ্ছে, চিনের এই ক্ষেপণাস্ত্র মূলত 200 থেকে 300 কিলোমিটার পাল্লার। তবে পাকিস্তানে পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলির সর্বোচ্চ রেঞ্জ 150 কিলোমিটার পর্যন্ত।

অবশ্যই পড়ুন: হার মানবে বাগানও! আসন্ন মরসুমের আগেই বিরাট বাজেটের দল গড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল

প্রসঙ্গত, শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও চিনের তৈরি JF-17 বিমান রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এই যুদ্ধবিমান। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, চিনের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে কিনে নেওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমানসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি ভারতের সাথে সংঘর্ষে একেবারে ডাহা ফেল করেছে। যার কারণে ভারতের সাথে আগ বাড়িয়ে শক্তি দেখাতে গিয়ে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়েছে পাকিস্তান। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখে মুখে বলি আওড়ালেও আদতে ভারতের সাথে সংঘাতে চিন পাকিস্তানকে এড়িয়েই চলছে!

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group